শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে মাঠে থাকবে ২০ দল
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি এক বছরেরও কম সময়। নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের প্রস্তাবও দিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। জোটের দাবি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে এবং সব দলের অংশগ্রহণে ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে। ওই দাবিতে আন্দোলনও করছে জোট।
এর সঙ্গে যোগ হয়েছে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তির দাবি। ওই মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালত। ওই দিন থেকেই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী দিয়ে মাঠে আছে ২০ দলীয় জোট।
একদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও অন্যদিকে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে ভোটের দাবিতে রাজনীতির মাঠে সরব থাকতে চায় ২০ দল। আর সেই জন্য মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচী, অনশন, সভাসমাবেশের মতো কর্মসূচীকে বেছে নেওয়া হয়েছে জোটের পক্ষ থেকে।
আগামী নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও রাজনীতির মাঠের কর্মসূচি নিয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা হয় ২০ দলের একাধিক নেতার। তাঁরা জানান, কোনো সহিংসতা নয়, শান্তিপূর্ণ কর্মসুচীতে মাঠে থাকবে তাঁরা।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন (ঢাকা) এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘যতদিন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করা হবে না ততদিন আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলতে থাকবে। একইসঙ্গে নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিএনপি ও ২০ দলের আন্দোলনও চলবে। কোনো অপশক্তি আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।’
ফজলুল হক মিলন বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন দেশের মানুষের হারিয়ে যাওয়া গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন। যে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোটনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপি ও জোট তাঁর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।’
জোটের অন্যতম শরিক দল এলডিপির যুগ্ম সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন চলছে, চলবে। তবে সেটি সম্পূর্ণ অহিংসভাবে তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। আগামীকাল বিএনপির তিন দিনের কর্মসূচি শেষ হবে। এরপর আবার ২০ দলীয় জোট বসে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে।’
শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, ‘জোটনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকব আমরা। আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে বাধ্য করা হবে খালেদা জিায়াকে মুক্তি দিতে ও সবার অংশগ্রহণে ভোটের ব্যবস্থা করতে।’
২০ দলীয় জোটের আরেক শরিক লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘জোট সব সময় দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে সব সময় গুরুত্ব দিয়েছেন। আমার মানুষের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলন করে যাবো।’
মোস্তাফিজুর রহমান ইরান আরো বলেন, ‘বর্তমান সরকার বিশ দলীয় জোটের আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতেই বেগম খালেদা জিয়াকে সাজানো মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা তাঁকে মুক্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট দিতে সরকারকে বাধ্য করব।’