শিশু রিফাতের অপহরণকারী ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সোলায়মান নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশের দাবি, সোলায়মান তাঁর সহযোগীদের গুলিতেই নিহত হয়েছেন।
নিহত সোলায়মানের বিরুদ্ধে এক শিশুকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগ রয়েছে। সোলায়মান ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলার হেতালবুনিয়া গ্রামের আনসার আলীর ছেলে।
বন্দুকযুদ্ধ চলাকালে সরাইল-আশুগঞ্জ সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মনিরুজ্জামান ফকির ও আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম তালুকদারসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
আশুগঞ্জ থানার ওসি বদরুল আলম তালুকদার জানান, খড়িয়ালা গ্রামের শিশু রিফাতকে অপহরণের পর হত্যা মামলায় সোলায়মানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যমতে অপহরণের মূল হোতা মিজানকে ধরতে গত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাহাদুপুর এলাকার পরিত্যক্ত আঁখি ট্রেডিং অ্যান্ড বয়লারে অভিযান চালাতে যান পুলিশ সদস্যরা। এ সময় সোলায়মানের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। উভয়পক্ষের গুলি বর্ষণের একপর্যায়ে নিজের সহযোগীদের গুলিতে সোলায়মান গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগানসহ দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
গতকাল রোববার সোলায়মানের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অপহরণের ১০দিন পর উপজেলার খড়িয়ালা গ্রামের শিশু রিফাতের (৫) বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রিফাতের বাবা বাহার মিয়া জানান, গত ৫ জানুয়ারি রিফাত বাড়ি না আসায় আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করা হয়। তাকে না পাওয়ায় পরের দিন ৬ জানুয়ারি সকালে আশুগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন বাহার মিয়া। ওই দিনই সোহাগ, সোলাইমান ও ইলিয়াস তাঁর কাছে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চান। বাহার মিয়া মুক্তিপণের বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশের সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মুনিরুজ্জামান ফকির মোবাইল ফোন নম্বর ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে আসামিদের শনাক্ত করেন। এরপর গত ১৩ জানুয়ারি সোহাগ ও সোলাইমানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এই দুজন রিফাতকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন। তাঁদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, পুলিশ সোহাগ ও সোলাইমানকে সঙ্গে নিয়ে রিফাতের গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালায়। খড়িয়ালার মোমিন মেম্বারের বাড়ি থেকে রিফাতের লাশ উদ্ধার করে।