গণভবন থেকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন। টঙ্গীর তুরাগ তীরে আজ আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে তাবলিগ জামাতের বৃহত্তম এই সম্মেলনের প্রথম পর্ব শেষ হলো।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি ও কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলিসহ প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়রা এ সময় গণভবনে তাঁর সঙ্গে মোনাজাতে অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহম্মদ জয়নুল আবেদীন, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, বিশেষ সহকারী ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ সময় সেখানে মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।
আখেরি মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহ বৃহত্তম ঐক্যের পাশাপাশি দেশ ও জাতির অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
কাকরাইল জামে মসজিদের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম মাওলানা মো. জুবায়ের মোনাজাত পরিচালনা করেন। আখেরি মোনাজাত ও ‘হেদায়েতি বয়ান’ এবারই প্রথম বাংলায় করা হয়।
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর, গাইবান্ধা, শেরপুর, লাক্ষ্মীপুর, ভোলা, ঝালকাঠী, পটুয়াখালী, নড়াইল, মাগুরা, পঞ্চগড়, নীলফামারী ও নাটোরসহ দেশের ১৬টি জেলার লাখ লাখ মুসল্লি ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করে।
এবারের ইজতেমার প্রথম পর্বে ৮৮টি দেশের প্রায় চার হাজার ৪৭৩ জন বিদেশি মুসল্লি অংশ নিয়েছেন। আগামী ১৯ থেকে ২১ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। দেশের আরো ১৬টি জেলার মুসল্লিরা সেখানে অংশ নেবে।
গত শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। আজ আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তা শেষ হলো।
ইজতেমার প্রথম পর্বে বিশিষ্ট ওলামায়ে-মাশায়েখরা তাঁদের বয়ানের মধ্যদিয়ে পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে পরিচালিত হওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় তাঁদের বয়ান বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে শোনানো হয়।
১৯৬৭ সাল থেকে নয়াদিল্লিভিত্তিক তাবলিগ-ই-জামাত এই বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করে আসছে। ইজতেমায় দেশ-বিদেশের বিপুল মুসল্লি আসতে থাকায় চাপ কমাতে ও সুষ্ঠুভাবে জমায়েতটি পরিচালনা করার স্বার্থে ২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হচ্ছে।