জামিনে বেরিয়ে হুমকি দিচ্ছেন হত্যা মামলার আসামিরা!
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার আসমা ইউনিয়নে কলেজছাত্র হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে বেরিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানিয়েছে, ভয়ভীতি, বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ ও খুনের হুমকি পেয়ে তাঁরা গত ১১ ডিসেম্বর বারহাট্টা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
গত ৬ নভেম্বর সাড়ে ৬টার দিকে নেত্রকোনা আবু আব্বাছ ডিগ্রি কলেজের ছাত্র আজিজুল হককে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৬ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জমিসংক্রান্ত জের ধরে ৮-১০ জন লোক ধারালো অস্ত্র নিয়ে মনাষ নোওয়াপাড়া রাস্তায় আজিজুল হকের ওপর হামলা করে। হামলায় গুরুতর আহত আজিজুলকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা। সেখানে অবস্থার আরো অবনতি হলে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন ৭ নভেম্বর ভোর ৪টার দিকে মারা যান তিনি।
ঘটনায় পরদিন ৮ নভেম্বর নিহতের বাবা মো. মঞ্জুরুল হক একই এলাকার নয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করলে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর ৩০ দিন পর পলাতক আসামি রাসেল এবং গ্রেপ্তার হওয়া সিদ্দিকুর রহমান ও শফিকুল ইসলাম জামিনে বের হয়ে আসেন। পরে গত ১০ ডিসেম্বর দুপুরে বাদীর ছোট ভাই মো. করিমুল হককে ভয়ভীতি প্রদর্শন, বসতবাড়ি থেকে সবাইকে উচ্ছেদ করা হবে বলে হুমকি দেন বলে জানায় বাদীপক্ষ।
পরদিন ১১ ডিসেম্বর বারহাট্টা থানায় জিডি করেন নিহতের পরিবারের সদস্য মো. করিমুল হক। এ ব্যাপারে কথা বললে, তাঁরা আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে জানান তিনি।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহউদ্দিন আহমেদ জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো করা হয়। নিহতের পরিবারের সদস্যদের হুমকির ব্যাপারে থানায় জিডি হয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
নিহত আজিজুল হক নেত্রকোনা আবু আব্বাছ ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ছিলেন। তিনি উপজেলার ভাটি নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।