এবার ফরহাদ মজহার হবেন আসামি!
কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহারকে অপহরণের মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার অভিযোগে দণ্ডবিধির ২১১ ধারায় মামলা করার অনুমতি দেওয়া হলো।
আর এর ফলে পুলিশ মামলা করলে উল্টো ফরহাদ মজদারই হবেন আসামি।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম এ আদেশ দেন।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
ফরদার মজহারের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদিন মেজবাহ এনটিভি অনলাইনকে জানান, ‘আজ সকালে ঢাকার মহানগর হাকিম খুরশীদ আলমের আদালতে পুলিশের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনের বিপক্ষে নারাজির দরখাস্ত দেওয়া হবে বলে আবেদন করা হয়। তখন এ বিষয়ে বিচারক সময় মঞ্জুর করে ৯ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেন। কিন্তু বিকেলে আবার প্রতিবেদন গ্রহণ করা হয়েছে বলে শুনেছি।’
গত ১৪ নভেম্বর ঢাকার মহানগর হাকিম খুরশীদ আলমের আদালতে এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে ফরহাদ মজদার অপহৃত হননি বলে উল্লেখ করা হয় এবং মিথ্যা তথ্যে মামলা করার অভিযোগে দণ্ডবিধির ২১১ ধারায় প্রসিকিউশনের মামলা করার অনুমতি চাওয়া হয়।
চলতি বছরের ৩ জুলাই বিকেলে ফরহাদ মজহারের রাজধানীর শ্যামলী রিং রোডের ১ নম্বর বাড়িতে তাঁর বন্ধু গৌতম দাস সাংবাদিকদের জানান, ভোর ৫টার দিকে বাসার সামনে থেকে কে বা কারা ফরহাদ মজহারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
গৌতম জানান, অপহরণের আধা ঘণ্টা পর মজহারের ফোন থেকে তাঁর স্ত্রী ফরিদা আখতারের কাছে কল আসে। ফোনে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’ এ কথা বলেই তিনি ফোনটি কেটে দেন।
গৌতম আরো জানান, বিষয়টি আদাবর থানার পুলিশকে জানানো হয়। পরে সেদিন দুপুরে মোবাইল ট্র্যাক করে ফরহাদ মজহার খুলনার শিববাড়ী এলাকায় বলে নিশ্চিত হয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরে তাঁকে উদ্ধারে সন্ধ্যা ৬টার দিকে র্যাব ৬-এর অধিনায়ক খন্দকার রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে শিববাড়ী এলাকায় কেডিএ অ্যাপ্রোচ রোড, ইব্রাহিম মিয়া রোড এলাকায় বাড়ি বাড়ি তল্লাশি শুরু শুরু হয়। এ সময় আশপাশে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনও তল্লাশি করা হয়।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে যশোরের নওয়াপাড়া এলাকায় হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করা হয়।
দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকার আদাবর থানার পুলিশ ও ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশের একটি দল ফরহাদ মজহারকে নিয়ে মাইক্রোবাসে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। পরের দিন আদালতে হাজির করা হয় তাঁকে। আদালত ফরহাদ মজদারকে নিজ জিম্মায় যাওয়ার অনুমতি দেন।