ফরহাদ মজহার অপহরণ : প্রতিবেদনের ওপর নারাজির শুনানি ৯ জানুয়ারি
কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহারকে অপহরণের মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর নারাজি শুনানির জন্য আগামী ৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম এ দিন ধার্য করেন।
ফরদার মজদারের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদিন মেজবাহ এনটিভি অনলাইনকে জানান, আজ ঢাকার মহানগর হাকিম খুরশীদ আলমের আদালতে পুলিশের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনের বিপক্ষে নারাজির দরখাস্ত দেওয়া হবে বলে আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিচারক সময় মঞ্জুর করে এ দিন নির্ধারণ করেন।
গত ১৪ নভেম্বর ঢাকার মহানগর হাকিম খুরশীদ আলমের আদালতে এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে ফরহাদ মজদার অপহৃত হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়।
চলতি বছরের ৩ জুলাই বিকেলে ফরহাদ মজহারের রাজধানীর শ্যামলী রিং রোডের ১ নম্বর বাড়িতে তাঁর বন্ধু গৌতম দাস সাংবাদিকদের জানান, ভোর ৫টার দিকে বাসার সামনে থেকে কে বা কারা ফরহাদ মজহারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
গৌতম জানান, অপহরণের আধা ঘণ্টা পর মজহারের ফোন থেকে তাঁর স্ত্রী ফরিদা আখতারের কাছে কল আসে। ফোনে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’ এ কথা বলেই তিনি ফোনটি কেটে দেন।
গৌতম আরো জানান, বিষয়টি আদাবর থানার পুলিশকে জানানো হয়। পরে সেদিন দুপুরে মোবাইল ট্র্যাক করে ফরহাদ মজহার খুলনার শিববাড়ী এলাকায় বলে নিশ্চিত হয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরে তাঁকে উদ্ধারে সন্ধ্যা ৬টার দিকে র্যাব-৬-এর অধিনায়ক খন্দকার রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে শিববাড়ী এলাকায় কেডিএ অ্যাপ্রোচ রোড, ইব্রাহিম মিয়া রোড এলাকায় বাড়ি বাড়ি তল্লাশি শুরু শুরু হয়। এ সময় আশপাশে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনও তল্লাশি করা হয়।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে যশোরের নোয়াপাড়া এলাকায় হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করা হয়।
দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকার আদাবর থানা পুলিশ ও ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশের একটি দল ফরহাদ মজহারকে নিয়ে মাইক্রোবাসে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। পরের দিন আদালতে হাজির করা হয় তাঁকে। আদালত ফরহাদ মজদারকে নিজ জিম্মায় যাওয়ার অনুমতি দেন।