রায়পুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের শ্রমিক নিহত
নরসিংদীর রায়পুরায় মাহেন্দ্র ট্রাক্টর ও পিকআপভ্যানের সংঘর্ষে একজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন। হতাহতরা সবাই নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শ্রমিক।
আজ শুক্রবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম সজীব (৩০)। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আজমল (২৮) ও ওবায়দুল (৩৪)। আহত আজমলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাঁরা নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২-এর অর্ন্তগত মরজাল সাব-স্টেশনের শ্রমিক।
নিহত সজীব নীলফামারীর বাসিন্দা। তাঁর মামা মুখলেছ মিয়াও ওই প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানা যায়, সকাল ৯টার দিকে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অফিস থেকে ১০-১২ জন শ্রমিক একটি পিকআপভ্যানে করে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নিয়ে নীলকুঠি এলাকায় যাচ্ছিলেন। নারায়ণপুর ও নীলকুঠির মাঝামাঝি স্থানে এলে ভৈরব থেকে ঢাকা মুখী একটি মাহেন্দ্র ট্রাক্টর পিকআপভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপভ্যানে থাকা শ্রমিক সজীব, আজমল ও ওবায়দুল আহত হন। তাঁদের দ্রুত ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নবী হোসেন বলেন, ‘সজীবকে আমরা মৃত অবস্থায় পাই। গুরুতর আহত আজমলকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ মরজালের সুপারভাইজার আল আমিন জানান, সম্পূর্ণ বেআইনি ও বেপরোয়াভাবে উল্টোদিক দিয়ে এসে ট্রাক্টরটি ওই পিকআপভ্যানকে ধাক্কা দেয়।
সজীবের মামা মুখলেছ মিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে মাটিতে বসা অবস্থায় ভাগ্নের মৃত্যুশোকে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছিলেন। বহুবার প্রশ্ন করেও তাঁর মুখ থেকে কোনো শব্দ বের হচ্ছিল না। সুপারভাইজার আল আমিন জানান, নিহত শ্রমিক সজীব আড়াই বছর আগে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে মামা মুখলেছের সঙ্গে কাজ শুরু করেন।
ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম কাউসার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মৃতদেহের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।