মেয়রের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা খারিজ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে করা এক মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। তবে ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা আরেক মামলায় জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম মাজহারুল হক মানহানি মামলা খারিজের আদেশ দেন। এ ছাড়া চতুর্থ সহকারী জজ দেব চন্দ্র দাস ক্ষতিপূরণ মামলার জবাব দাখিলের জন্য সমন জারি করেন। দুটি মামলার বাদী মমতাজ ইসলাম নামের এক নারী।
বাদীর আইনজীবী এখলাস উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, গত ১৩ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে ১৯ নভেম্বর অভিযান শুরু’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। একই ধরনের সংবাদ প্রকাশিত হয় আরো দুটি পত্রিকায়। সংবাদে বলা হয়, গত ১২ নভেম্বর একটি সভায় রাজধানীর ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড আনন্দবাজার এলাকায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান মেয়র সাঈদ খোকন।
গত ১২ নভেম্বর একটি সমন্বয় সভায় মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, আনন্দবাজার এলাকার ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তর করার জন্য উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আনন্দবাজারে রেলওয়ের জায়গা আছে। এই জায়গায় ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড স্থাপনের লক্ষ্যে শিগগিরই উচ্ছেদের অভিযান পরিচালনা করা হবে। বাদীর এই ধরনের বক্তব্য পরের দিন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। মেয়রের এ বক্তব্যে বাদীর বিভিন্ন আবাসিক ও দোকানের মালিক এবং কর্মচারীরা ভয়ে ভীত হয়ে ব্যবসার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। অনেকেই বাসা ভাড়া ছেড়ে দেওয়ার জন্য বাদীকে হুমকি দেন। বিবাদীর এই বক্তব্যের কারণে বাদীর পাঁচ কোটি টাকার মানহানি হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে আরো জানা যায়, মামলার বাদী মমতাজ ইসলাম শাহবাগ থানার ৯/৫, সেক্রেটারিয়েট (আনন্দবাজার) এলাকায় ৪.১৭ একর জমি মালিক এবং দখল করে আছেন। ২০১১ সালের ২২ মার্চ বাংলাদেশ রেলওয়ে তা উচ্ছেদ করতে চাইলে হাইকোর্ট স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন এবং আদালতের আশ্রয় নিতে বলেন। পরে ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর বাদীকে উচ্ছেদ করতে চাইলে আবারও হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। ২০১৩ সালের ৭ জুলাই উভয় পক্ষের শুনানি শেষে রিট পিটিশনটি কিছু অবজারবেশনসহ নিষ্পত্তি করেন আদালত।