রাজধানীতে আগামী ৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি উৎসব ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৭’। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ওই উৎসবের আয়োজন করছে। পঞ্চমবারের মতো ওই উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এটা দেশের সবচেয়ে বড় তথ্যপ্রযুক্তি উৎসব।

আজ বৃহস্পতিবার কারওয়ানবাজারে জনতা সফটওয়্যার টেকনোলোজি পার্কে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ ওই আয়োজন সম্পর্কে ধারণা দেন।

উৎসবের প্রতিপাদ্য করা হয়েছে ‘রেডি ফর টুমরো’। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চার দিনব্যাপী ওই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই উৎসবের উদ্বোধন করবেন। এ মেলায় ফিলিপাইন, মালদ্বীপ, সৌদি আরব, আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীরা মেলায় উপস্থিত থাকার কথা  নিশ্চিত করেছেন।

লিখিত বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ বলেন, ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড উৎসবটির মাধ্যমে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক আইটি জায়ান্টদের কাছে দেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন প্রদর্শন করা হবে। এর পাশাপাশি বিগ ডেটা এনালিটিকস, মেশিন লার্নিং, ফিন্টেক, বায়োটেক, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা  ও রোবটিকসের মতো আধুনিক ও চলমান প্রযুক্তিতেও নিজেদের প্রস্তুত করছি।’

এই প্রযুক্তি উৎসবে গত নয় বছরের কার্যক্রম ও আগামী পাঁচ বছরের কী উন্নয়ন ও কার্যক্রম নেওয়া হবে তার একটি রূপরেখা দেখানো হবে বলে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন। এই অনুষ্ঠানে প্রায় ৭০ জন বিদেশি ও শতাধিক স্থানীয় বক্তা ২৯টি পর্বে অংশ নেবেন।  গুগল, নুয়ান্স, ফেসবুক, অ্যাংরিবার্ড, কোয়ালকম, মটোরোলাসহ শীর্ষ আইটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন সেশনে অংশ নেবেন।

উৎসবের দ্বিতীয় দিন ৭ ডিসেম্বর ‘মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।  মেলার শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর ‘অ্যাওয়ার্ড নাইটে’র মাধ্যমে শেষ হবে প্রযুক্তির  মেলা।

সফটওয়্যার প্রদর্শনী জোন, ই-গভার্নেন্স জোন, মোবাইল ইনোভেশন জোন, ই-কমার্স জোন, স্টার্টআপ বাংলাদেশ, এক্সপেরিয়েন্স, মেড ইন বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক মোট আটটি জোন থাকবে। পাঁচ লাখেরও বেশি দর্শক এই মেলায় অংশ গ্রহণ করবে বলে আশা করেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।  

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘এই মেলার বাজেট ধরা হয়েছে ১২ কোটি টাকা। এরই মধ্যে বিদেশি ১৬২টি  প্রতিষ্ঠানের ৩৫০ জন অতিথি মেলায় যোগ দেবেন বলে জানান তিনি। এ ছাড়া দুবার অস্কার জয়ী সফটওয়্যার প্রকৌশলী  নাফিস বিন জাফর ও রোবট সোফিয়াকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

মেলাটি সবার জন্য উন্মুক্ত। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত। মেলায় কোনো প্রবেশমূল্য নেই। তবে দর্শনার্থীদের অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরই মধ্যেই অনলাইনে ১০ হাজার দর্শনার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছেন।  www.digitalworld.org.bd লিঙ্কে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্প এ অনুষ্ঠানের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী, বিসিসির নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার সরকার, বেসিসের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রাসেল টি আহমেদ, দোহাটেক নিউ মিডিয়ার চেয়ারম্যান লুনা শামসুদ্দোহা প্রমুখ।