মা-ছেলে হত্যা : তৃতীয় স্ত্রীর স্বীকারোক্তি
রাজধানীর কাকরাইলে মা ও ছেলে হত্যা মামলায় নিহতের স্বামী আব্দুল করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমীন আক্তার মুক্তা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম আহসান হাবীব এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
ঢাকার অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী হোসেন নিহতের স্বামী আব্দুল করিম ও তার তৃতীয় স্ত্রী মুক্তাকে হাজির করেন। তদন্ত কর্মকর্তা স্ত্রী মুক্তার স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য রেকর্ড করার আবেদন ও স্বামীকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
এর আগে মুক্তার ভাই আল আমিন ওরফে জনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গত ১ নভেম্বর কাকরাইলে নিজ ফ্ল্যাটে শামসুন্নাহার ও তাঁর ছেলে শাওনকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সময় বাসায় ছিলেন না শামসুন্নাহারের স্বামী আবদুল করিম। গত ২ নভেম্বর করিম, শারমিন মুক্তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা যায়, নিহত শামসুন্নাহার আবদুল করিমের প্রথম স্ত্রী। এরপর তিনি আরো দুটি বিয়ে করেন। পুলিশ আবদুল করিমের পাশাপাশি তাঁর তৃতীয় স্ত্রী শারমিন আক্তার মুক্তাকে আটক করে। শারমিন আক্তার মুক্তা চলচ্চিত্রে অভিনয় করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজনা করতে গিয়ে মুক্তার সঙ্গে পরিচয় হয় আবদুল করিমের। পরে বিয়েও করেন মুক্তাকে। তবে প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহারকে তালাক দেননি তিনি।