পাসপোর্টে কি নাম পরিবর্তন করা যায়?
সাইফুর রহমান (ছদ্মনাম)। তিনি পাসপোর্টে নাম বদলে রাখতে চান মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। কিন্তু কীভাবে নাম পরিবর্তন করবেন, তা জানেন না।
সাইফুর রহমানের মতো এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা পাসপোর্টে নাম পরিবর্তন নিয়ে থাকেন বিপাকে। কিন্তু কয়েকটি ধাপে খুব বেশি জটিলতা ছাড়াই করা যায় কাজটি।
প্রথম ধাপ
প্রথমত ধাপে নাম পরিবর্তনের জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে আপনাকে হলফনামা সম্পাদন করতে হবে। হলফনামাকে অনেকে এফিডেভিট বলেও চেনে।
হলফনামায় কিছু বিষয় উল্লেখ করতে হয়, যা হলো- হলফকারীর পূর্ণ নাম, ঠিকানা, বাবা ও মায়ের নাম, জাতীয়তা, বয়স, পেশা, ধর্ম প্রভৃতি। এর সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
হলফকারী ব্যক্তি কী বিষয়ে হলফ করছেন, তার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দিতে হবে। নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আগের নাম কী ছিল এবং বর্তমান নামে কী সংশোধন হয়েছে, তা স্পষ্টভাবে বলতে হবে। এর সঙ্গে কোনো সনদপত্রে, পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্রে হলফনামা সম্পাদনের পর থেকে কী নাম ব্যবহার করা হবে, তা সুনির্দিষ্টভাবে বলে দিতে হবে।
এ ছাড়া হলফনামা দিয়ে বয়স পরিবর্তন করা যাবে না। অনেক নারী তাঁর স্বামীর টাইটেল বা নামের অংশ নিজের নামের সঙ্গে জুড়ে দিতে চান। এ ক্ষেত্রেও হলফনামা বাধ্যতামূলক।
অবশ্যই হলফকারীকে হলফনামার সঙ্গে পাসপোর্ট আকারের সত্যায়িত ছবি দিতে হবে, হলফনামায় স্বাক্ষর করতে হবে। হলফনামার শেষ অংশ একজন আইনজীবীর মাধ্যমে শনাক্ত করাতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ
এই ধাপে হলফনামা সম্পাদনের পর কোনো একটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে।
তৃতীয় ধাপ
হলফনামা ও পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি নিয়ে নির্দিষ্ট দপ্তরে ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে। এরপর প্রক্রিয়া শেষে পাসপোর্টের নাম সংশোধিত হবে।
তবে মনে রাখতে হবে, একবার হলফনামা করে নাম পরিবর্তন করলে পরবর্তী সময়ে আবারও নাম সংশোধনের হলফনামা করতে জটিলতা দেখা দেবে। তাই হলফনামা করার সময় সতর্ক থাকতে হবে।
লেখক : আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট