গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা, ৬ দিন পর লাশ উদ্ধার
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় আলেয়া খাতুন (৪০) নামের এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়নের পাইকরহাটি গ্রামে।
এ ঘটনায় সাঁথিয়া থানার পুলিশ টুটুল মল্লিক (৩০) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। পরে তাঁর স্বীকারোক্তি মোতাবেক ছয়দিন পর আজ মঙ্গলবার সকালে পাইকরহাটি গ্রামের বিলে পানির মধ্যে ধানক্ষেত থেকে গৃহবধূ আলেয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়।
সাঁথিয়া থানায় দেওয়া সাধারণ ডায়েরি (জিডি) সূত্রে জানা যায়, পাইকরহাটি গ্রামের আরদোশ আলী মল্লিকের স্ত্রী আলেয়া খাতুন (৪০) দুই সন্তানের মা। গত ১ নভেম্বর বুধবার দুপুরের দিকে আলেয়া পাইকরহাটি গ্রামের ঈদগাহ মাঠের পাশে লাকড়ি কুড়ানোর জন্য যান। আলেয়া বাড়ি ফিরে না আসায় স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। তাঁকে না পেয়ে গত ৩ নভেম্বর শুক্রবার আলেয়ার স্বামী আরদোশ মল্লিক সাঁথিয়া থানায় একটি জিডি করেন, যার নম্বর ১০২।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেড়া সার্কেল) আশিস বিন হাসান আজ দুপুরে সাঁথিয়া থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ১ নভেম্বর থানায় জিডি হওয়ার পর পরই হত্যাকারীকে খুঁজতে পুলিশ তৎপরতা শুরু করে। এরই অংশ হিসেবে মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে কৌশলে সন্দেহভাজন আসামি পাইকরহাটি গ্রামের টুটুল মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে টুটুল মল্লিক গৃহবধূ আলেয়াকে নির্জন জায়গায় একলা পেয়ে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। আলেয়া ধর্ষণের বিষয়টি ফাঁস করার কথা বলায় ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে টুটুল আলেয়ার পরনের শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর তাঁর লাশ ধানক্ষেতের জমিতে পানির ভেতর লুকিয়ে রাখেন।
আশিস বিন হাসান আরো জানান, পুলিশ টুটুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাঁকে সঙ্গে নিয়ে পাইকরহাটি গ্রামের ঈদগাহ মাঠের পশ্চিমে পানির মধ্যে ধানক্ষেত থেকে আজ সকালে আলেয়ার লাশ উদ্ধার করে। এরপর তা পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আলেয়ার মেয়ে শাবানা খাতুন বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। পরে ওই মামলায় টুটুল মল্লিককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।