জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে দেয়নি সরকার : ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) সম্মেলনের অজুহাত দেখিয়ে বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে দেয়নি সরকার।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
প্রতিবছর ৭ নভেম্বর দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় বিএনপি। তবে এ বছর সিপিএ সম্মেলনে কারণে শেরেবাংলা নগরে চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর অনুমতি পায়নি দলটি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের একটি কনফারেন্সের (সম্মেলন) বরাত দিয়ে সরকার ১৪৪ ধারা জারি করে আমাদের, আজকে সকালে, যে আমরা যে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করি, আমরা যে ফাতিহা পাঠ করি, সেই সুযোগ থেকে আমাদের বঞ্চিত করেছে। আমরা মনে করি যে, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবেই (শ্রদ্ধা জানাতে দেয়নি)। কারণ, ওই জায়গাটাকে বাদ দিলেই তো তারা পারত। কারণ, ওই দিকটাতে খুব বেশি সম্মেলন কিন্তু অ্যাফেক্ট (প্রভাব) করে না। কিন্তু তারা সেটা ইচ্ছাকৃতভাবেই করেছে।’
ফখরুল বলেন, আগামী ১২ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি না দিলে প্রমাণ হবে, সরকার রাজনৈতিক দল ও জনগণের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করব, সরকার এই জনসভা অনুষ্ঠিত করতে আমাদের সর্বতোভাবে সহায়তা করবে। অন্যথায় এটাই প্রমাণিত হবে যে, তারা সব রাজনৈতিক দলের অধিকার, সে অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। জনগণের অধিকারকে কেড়ে নিচ্ছে।’
‘এই পার্লামেন্ট জনগণ নির্বাচিত পার্লামেন্ট না। এই পার্লামেন্টে যে আইনগুলো পাস করা হয়েছে, সেগুলোর বৈধতা কতটুকু আছে, তা ভবিষ্যৎই বলে দেবে। এই পার্লামেন্টে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তা কখনোই জনগণের পক্ষের সিদ্ধান্ত হয় না। এটার ব্যাপারে আমাদের এতটুকু দ্বিধা নেই, দ্বন্দ্ব নেই। এই পার্লামেন্টকে আমরা কোনো বৈধ পার্লামেন্ট মনে করি না। অনানুষ্ঠানিকভাবেই প্রায় সব দেশকেই এই কথাগুলো জানানো হয়েছে।’
এর আগে বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন ফখরুল।