তারেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, বুধবার বিক্ষোভের ডাক
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে আগামী বুধবার সারা দেশে বিক্ষোভ পালন করবে বিএনপি। ঢাকা মহানগরসহ দেশের সব জেলায় ওই বিক্ষোভ পালন করবে বিএনপি।
আজ সোমবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ‘বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দায়ের হওয়া একটি মিথ্যা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় আজ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। যা সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও হয়রানিমূলক। যে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতিকে সরকারি আক্রমণের শিকার হয়ে জোরপূর্বক ছুটিতে পাঠিয়ে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয় সেখানে বিরোধী দলের নেতারা সরকারের কী ধরনের নিষ্ঠুর আক্রোশের শিকার হবেন তা সহজেই অনুমেয়। প্রধান বিচারপতিকে হেনস্তার মাধ্যমে বর্তমানে নিম্ন আদালতকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্বাহী বিভাগের আদেশে কীভাবে চলতে হবে। এমনকি সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের অবদান সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার একটি ঐতিহাসিক সত্য উচ্চারণ করাতে তাঁকেও আওয়ামী মন্ত্রী ও নেতারা প্রধান বিচারপতির পরিণতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সতর্ক করেছেন। আসলে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী অমানবিক নষ্টবুদ্ধি নিয়ে বিনাভোটে দেশ চালাচ্ছে। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে সরকারেরই নির্দেশে। অপরাধটা কী, তিনি রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছিলেন আর তা একুশে টেলিভিশনের লাইভ প্রচার করা হয়েছিল। আর সেজন্য আরো দুজন সাংবাদিককেও আসামি করা হয়েছে।’
রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, ‘শাসক দল যে কতটা বেপরোয়া হয়ে গেছে যে, গতকাল সিরাজগঞ্জের সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ কামারখন্দ উপাজেলায় এক কর্মীর স্মরণসভায় গেলে ফেরার পথে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কড্ডার মোড়ে তাঁর গাড়িতে হামলা চালিয়ে তাঁকে আহত এবং গাড়িবহরের গাড়িগুলোতে ভাঙচুর চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধনের মাধ্যমে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। দেশে এখন এমনই এক নিষ্ঠুর সরকারের শাসন চলছে যেখানে একজন সাবেক মহিলা এমপি ও বিএনপির জেলা প্রধানেরও নিরাপত্তা নেই। গতকাল এ বিষয়ে স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে মামলা গ্রহণ করেনি পুলিশ। অর্থাৎ এখন পুলিশি থানাগুলো আওয়ামী লীগের থানা কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে।’