শেষবারের মতো দেশে ফিরছে জুনাইদের পরিবার
গত বছর ডিসেম্বরে দেশে এসেছিলেন তাঁরা। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছিলেন। আবার আসবেন। কিন্তু লাশ হয়ে। একই পরিবারের পাঁচ সদস্য শেষবারের মতো দেশে ফিরবেন আগামীকাল বৃহস্পতিবার।
গত সোমবার কুয়েতে এয়ারকন্ডিশন (এসি) বিস্ফোরণে চার শিশু ও তাদের মা নিহত হন। বাসার বাইরে থাকায় বেঁচে যান শিশুদের বাবা জুনাইদ আহমদ। নিজের স্ত্রী ও শিশুদের লাশ নিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের কান্দিগাঁওয়ে আসবেন।
ওই ঘটনায় নিহত হলেন জুনাইদ আহমদের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৩৩) মেয়ে জামিলা (১৫) ও নাবিলা (৯), ছেলে ইমাদ (১২) ও ফাহাদ (৫)। কুয়েত সিটির সালমিয়াত নামের এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার কুয়েতের স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় মোবারক আল কবির হাসপাতালে নিহতদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত পাঁচ বাংলাদেশির মরদেহ বৃহস্পতিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে পৌঁছাবে। বৃহস্পতিবার কুয়েতের স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে নিহতদের নিয়ে আসবেন জুনাইদ।
জানা যায়, বিস্ফোরণে নিহতদের লাশ বহনের খরচ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে। জুনাইদের মামা খিজির আহমদ জানান, বিমানবন্দরে পৌঁছার পর জানাজার সময় নির্ধারণ করা হবে।
জুনাইদ কুয়েত সেনাবাহিনীর সিভিল পদে চাকরি করতেন। জুনাইদ আহমদ তাঁর পরিবার নিয়ে ১৫ বছর ধরে কুয়েতে বসবাস করছেন।
২০১৬ সালের ১০ ডিসেম্বর জুনাইদ স্ত্রী ও চার সন্তানকে নিয়ে দেশে এসেছিলেন। প্রায় ৫৪ দিন তাঁরা কমলগঞ্জের কান্দিগাঁওয়ে ছিলেন।
জুনাইদের অপর দুই ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য ভাই সপরিবারে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।