কুষ্টিয়ায় ছেলেকে ‘গলা টিপে হত্যা’র পর মায়ের ‘আত্মহত্যা’
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নওদা বহলবাড়িয়া গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে নিজের চার বছরের ছেলেশিশুকে গলা টিপে হত্যার পর হেনা বেগম নামের এক নারী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
হেনা বেগম বহলবাড়িয়ার আবদুল করিমের স্ত্রী। তিনি নিজের ছেলে হাসিবুলকে প্রথমে গলা টিপে হত্যার পর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন তাঁর এক স্বজন।
পুলিশ দুজনের লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
আবদুল করিমের চাচাতো ভাই সাইদুর রহমান মন্টু জানান, হেনা বেগমের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী রানাকর তালবাড়িয়া গ্রামের এক যুবকের অবৈধ সম্পর্ক ছিল বলে বেশ কিছুদিন ধরে অভিযোগ করে আসছিলেন তাঁর স্বামী আবদুল করিম। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত। আজ সকালেও দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এর পর আবদুল করিম বাজারে দুধ বিক্রি করতে বের হলে স্ত্রী হেনা বেগম নিজের ঘরে প্রথমে চার বছরের ছেলেশিশু হাসিবুলকে গলা টিপে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে নিজের ঘরের আঁড়ায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম জামাল ওই নারী ও সন্তানের মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছেন।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মা ছেলেকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছেন।