আবারও হাজার হাজার রোহিঙ্গা আসছে
ক্ষুধার্ত, নিঃস্ব, ভীত হাজার হাজার রোহিঙ্গা আজ সকালে আবারও সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ২৫ আগস্ট সহিংসতা শুরুর পর রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা পাঁচ লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম নাগরিকের সঙ্গে এই হাজার হাজার মানুষেরও ঠাঁই হবে অস্থায়ী আশ্রয়শিবিরে।
নতুন করে আসা রোহিঙ্গারা ঝোপঝাড় আর বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যে কী করে বুথিডং থেকে বাংলাদেশে এসে পৌঁছান, রয়টার্সের প্রতিনিধির কাছে তার বর্ণনা দেন। কক্সবাজারের পালংখালীর যে সড়ক ধরে তাঁরা বাংলাদেশে আসছিলেন, আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছিল, সেই লাইন যেন শেষ হওয়ার নয়। অনেকেই আঘাতপ্রাপ্ত, তাদের এক ধরনের স্ট্রেচারে বহন করা হচ্ছিল। আর নারীদের হাতে ছিল হাঁড়ি-পাতিলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সাধারণ গৃহস্থালি আসবাব ও কাপড়।
দীর্ঘ লাইনে হাঁটছিলেন রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ শোয়াইব (২৯)। তিনি বলেন, ‘এক মাস ধরেই আমরা ঘর থেকে বের হতে পারছিলাম না। কারণ, সেনাবাহিনী মানুষদের ধরে নিয়ে যাচ্ছিল। একপর্যায়ে তারা গ্রাম পুড়িয়ে দিতে শুরু করে। তখন আমরা পালিয়ে পাশের অন্য একটি গ্রামে চলে যাই।’
‘দিন দিন পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছিল। তখন আমরা বাংলাদেশে চলে আসার সিদ্ধান্ত নিই। এখানে চলে আসার আগে আমি গ্রামের কাছে যাই নিজের বাড়িটি দেখার জন্য। ততক্ষণে পুরো গ্রামটিই জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে’, যোগ করেন শোয়াইব।
রাখাইন রাজ্যের বাজারগুলো বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষুধার তাড়নায় একপ্রকার পালিয়ে এসেছেন বলে জানান রোহিঙ্গারা। তাঁরা জানান, সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধরা তাঁদের ওপর হামলা চালায়।