কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মো. শাহীন (২৭) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি মালয়েশিয়াপ্রবাসী রাকিবুল ইসলাম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহীনের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর থানার নূরপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মতিউর রহমান।
গত রোববার কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় কালীগঙ্গা নদী থেকে রাকিবুল ইসলামের (৩২) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। দুই মাস আগে মালয়েশিয়া থেকে ছুটিতে দেশে এসেছিলেন তিনি।
রাকিবুল কুমারখালীর চাপড়া ইউনিয়নের পাহাড়পুর স্কুলপাড়া গ্রামের মন্টু বিশ্বাসের ছেলে। লাশ উদ্ধারের পর আটজনকে আসামি করে কুমারখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মন্টু। সেই মামলায় গত বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল শাহীনকে। পরে তাঁর দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার রাকিবুলের স্ত্রী নাঈমা সুলতানা তিশাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
পুলিশের ভাষ্য, বন্দুকযুদ্ধে তাদের চার সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) রাজীব আল রশিদ, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাসুদুর রহমান, কনস্টেবল মো. ফিরোজ ও আলিমুজ্জামান। তাঁদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বন্দুকযুদ্ধের পর একটি তলোয়ার, রামদা, বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও একটি গুলি উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল খালেক জানান, প্রবাসী রাকিবুল হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আটজনের মধ্যে তিনজনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে বৃহস্পতিবার রাতে শাহীনকে নিয়ে শিলাইদহ ঘাটে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওত পেতে থাকা শাহীনের সহযোগীরা তাঁকে ছিনিয়ে নিতে গুলি চালায়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এর এক পর্যায়ে শাহীন গুলিবিদ্ধ হলে সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ সদস্যরা শাহীনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।