ঢাকা মহানগরীতে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু শনিবার
ভোটার তালিকা হালনাগাদে ঢাকা মহানগরীতে আগামীকাল শনিবার থেকে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান বাসসকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা জানান, ওই দিন সকাল ৯টায় বেইলি রোডে সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজকেন্দ্রে নিবন্ধন কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন ইসি সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
আসাদুজ্জামান আরো জানান, শনিবার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার গুলশানে কালাচাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রফিকুল ইসলাম জিগাতলা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কবিতা খানম ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে মুসলিম মডার্ন একাডেমি ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হেসেন চৌধুরী মিরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম উপলক্ষে ইতিমধ্যে ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিকদের তথ্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা হয়েছে। যেসব নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, তাদের নির্ধারিত তারিখে নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে ছবি তুলে ও আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোটার হতে হবে।
যাদের জন্ম ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে অর্থাৎ যাদের বয়স ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি ১৮ বছর বা তার বেশি হবে, এবার ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে তাদের ভোটার করা হচ্ছে।
ইসি সচিবালয়ের পরিচালক জানান, ইতিপূর্বে হালনাগাদে বাদ পড়াদেরও ভোটার করা হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের সময় ভোটার হওয়ার যোগ্য কারো তথ্য সংগ্রহ করা না হয়ে থাকলে, তারাও নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে তথ্য ফরম পূরণ করে ভোটার হতে পারবেন।
বাদ পড়া ভোটারদের ১৭ ডিজিটের জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেটের কপি, এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সার্টিফিকেটের ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছ থেকে নাগরিকত্বের সনদপত্র, বাবা ও মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ঠিকানা প্রমাণের স্বপক্ষে বাসা/বাড়ির ট্যাক্স প্রদানের রশিদ/চৌকিদারের রশিদ/যেকোনো ইউটিলিটি বিলের কপি/জমির দলিলের ফটোকপি সঙ্গে নিয়ে নিবন্ধন কেন্দ্রে যেতে হবে।
ঢাকা মহানগরী ও এর আওতাধীন এলাকাগুলোর ভোটার নিবন্ধনের সময়সূচি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন আকারে প্রচার করা হয়েছে। সময়সূচি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটেও ( www.ecs.gov.bd) পাওয়া যাবে। এ ছাড়া হটলাইন ১০৫ নম্বরে ফোন করেও জানা যাবে।