রাজশাহীতে তরল রাসায়নিক পানে দু’জন নিহত
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের ডাইংপাড়া চব্বিশনগর গ্রামে রাসায়নিক পদার্থ পান করে দুজন নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। এ ছাড়া এ ঘটনায় আরো আটজন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে চারজনকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন চব্বিশনগর ডাইংপাড়া গ্রামের মৃত তোফিজুল ইসলামের ছেলে বকুল হোসেন (৩৮) এবং ইউসুফ আলীর ছেলে তোহিজুল ইসলাম (২৫)। আজ ভোরে তাঁরা মারা যান।
গোদাগাড়ী থানার ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি জানান, চব্বিশনগর ডাইংপাড়া গ্রামের কয়েক ব্যক্তি রাজশাহী মহানগরীর সপুরায় একটি ওষুধের কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। গত মঙ্গলবার তাঁরা ওই কারখানায় কাজে গিয়ে সেখানে একটি ড্রামে থাকা রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে রুটি খান। খেতে ভালো লাগায় একজন ওই পদার্থটি বোতলে ভরে গ্রামে নিয়ে যান।
এরপর রাতে তিনি গ্রামের আরো চার বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে কোমল পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে রাসায়নিকটি পান করেন। গতকাল বুধবার রাত থেকে তাঁরা একে একে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়লে গ্রামে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার ভোরে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তাদের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। অপর চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রিশিকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম টুলু বলেন, খবর পেয়ে তিনি চব্বিশনগর ডাইংপাড়া গ্রামে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি একটি বোতল জব্দ করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। বোতলের গন্ধ শুকে মনে হয়েছে, ওই বোতলে রেকটিফায়েড স্পিরিট ছিল।
তবে বিষয়টি নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি হিপজুর আলম মুন্সি। তিনি বলেন, রাসায়নিক পদার্থটি লালি গুড়ের মতো। গুড় ভেবেই শ্রমিকরা সেটি কারখানায় রুটির সঙ্গে মিশিয়ে খেয়েছিলেন। তবে গ্রামে নেওয়ার পর তা আবার কোমল পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খান তাঁরা। ওই রাসায়নিকটি আসলে কী তা তাঁরা ওষুধের কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে মৃত দুই ব্যক্তির মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে বলেও জানান ওসি।