হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়, আতঙ্কে যুবকের মৃত্যু
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এ সময় ঝড়ের আতঙ্কে মারা গেছে এক যুবক।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে এসব ঘটনা ঘটে। দুপুরে উপজেলার পূর্ব-দক্ষিণ কোণ দিয়ে ধেয়ে আসা এই ঘূর্ণিঝড় আড়ানী পৌরসভা, আড়ানী ইউনিয়ন ও বাউসা ইউনিয়নের ওপর আঘাত করে।
এতে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, ঝড়ের সময় আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাদের আলী নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। তিনি আড়ানী পৌরসভার গোচর গ্রামের মৃত আবু তাহের আলীর ছেলে। ঘূর্ণি ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
স্থানীয়রা জানায়, আজ সকাল থেকেই এলাকায় ভারি বৃষ্টি শুরু হয়। দুপুরে আকস্মিকভাবে ঝড় বয়ে যায়। এতে উপজেলার আড়ানী পৌরসভার গোচর, খয়েরমিল, আড়ানী ইউনিয়নের হরিপুর, ঝিনা, নুরনগর এবং বাউসা ইউনিয়নের দিঘা, খাগড়বাড়িসহ আটটি গ্রামের দুই শতাধিক বাড়িঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এ ছাড়া ঝড়ে এলাকার বিপুল গাছপালা ভেঙে যায়।
গোচর গ্রামের স্কুল শিক্ষক আমানুল হক জানান, ঘূর্ণিঝড়ে তাঁর লিচু বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ১০ থেকে ১২ বছরের পুরোনো ৩০টি লিচু গাছ ভেঙে গেছে। একই গ্রামের সুফিয়া বেগম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে তার একমাত্র টিনের মাত্র ঘরটি উড়ে গেছে।
আড়ানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, আকস্মিক ঝড়ে তার ইউনিয়নের ছয়টি গ্রাম তছনছ হয়ে গেছে। রাস্তায় গাছপালা ভেঙে যাওয়ার কারণে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর এখন সরকারি সহায়তা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাউসা ইউনিয়ের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, হঠাৎ এই ঘূর্ণিঝড়ে তাঁর ইউনিয়নের প্রায় ২০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জমির ফসলসহ অসংখ্য গাছপালা।
ঘটনার পর উপজেলা চেয়ারম্যান জিন্নাত আলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা, জেলা পরিষদের সদস্য নূর মোহাম্মদ তুফান ও জয়জয়ন্তী সরকার মালতি, আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার আলী, বাউসা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফিক, আড়ানী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো পরিদর্শন করেছেন।