সব দলের জন্য অভিন্ন পোস্টার, সেনা বাহিনী চায় ইসলামী ঐক্যজোট
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন, কমিশনের উদ্যোগে সব প্রার্থীর নাম, দল ও প্রতীকের উল্লেখ সংবলিত অভিন্ন পোস্টার ছাপানোসহ ১১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী ঐক্যজোট।
সেই সঙ্গে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কমিশন থেকে প্রত্যাহারও দাবি করা হয়েছে জোটের পক্ষ থেকে।
আজ মঙ্গলবার ইসলামী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামীর নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়। সংলাপ শেষে ইসলামী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময়ে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংলাপ শেষে জোটের চেয়ারম্যান আবদুর লতিফ নেজামী বলেন, নির্বাচনের সময় প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা মূল্যায়ন করে প্রয়োজনে স্পর্শকাতর এলাকায় সেনাবাহিনী নিয়োগ দিতে হবে। ঢালাওভাবে সেনাবাহিনী নিয়োগ করার প্রয়োজন নেই বলে আমরা মনে করি।
আবদুল লতিফ নেজামী বলেন, নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে সব প্রর্থীর নাম , দল ও প্রতীকের উল্লেখ সংবলিত অভিন্ন পোস্টারের ব্যবস্থা করা গেলে অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল যোগ্য প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পাবে। আর তাই কমিশনের কাছে এই প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা।
লিখিত প্রস্তাব তুলে ধরে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচনে অনৈতিকভাবে জেতার প্রয়াসকে প্রতিহত করা, পোলিং বুথে সব প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের নির্ভয়ে কাজ করারার পরিবেশ নিশ্চিত করা, প্রতিটি কেন্দ্রের নির্বাচনী ফলাফল জনসমক্ষে ঘোষণা করা এবং প্রত্যেক প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের সার্টিফিকেট ইস্যু বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।
ইসলামী ঐক্যজোটের অন্য প্রস্তাবগুলো হলো- নৈতিক স্খলনের অভিযোগে দণ্ডিত ব্যক্তিদের (দুই বছর পর) সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ বাতিল করা, নির্বাচন কালো টাকা ও পেশি শক্তির প্রভাবমুক্ত রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া, যে সব দল ৩০ এর বেশি প্রার্থী মনোনয়ন দেবে তাঁদের বেতার ও টিভিসহ সরকারি প্রচার মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সুযোগ দেওয়ার বর্তমান নিয়ম বহাল রাখা, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকেও নিরপেক্ষ থাকা। তাই রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা- কর্মচারীদের কমিশন থেকে প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করে ইসলামী ইক্যজোট।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল লতিফ নেজামী বলেন, কোন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে সেটা ঠিক করবে সরকার। এখানে নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার নেই। তাই আমরা এ বিষয়ে কোনো আলোচনা করিনি।
এ নিয়ে মোট ২৮টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে ইসি।