রাজশাহীতে শুরু হচ্ছে রবীন্দ্র উৎসব
রাজশাহীতে শুরু হচ্ছে দুদিনব্যাপী রবীন্দ্র উৎসব। আগামী ১৩ অক্টোবর সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রবীণ রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী ও জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের সভাপতি ড. সনজীদা খাতুন।
উৎসবের উদ্বোধন করবেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আবদুস সোবহান। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি থাকবেন কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. সনৎকুমার সাহা এবং রবীন্দ্রসংগীত বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সুব্রত মজুমদার। জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ রাজশাহী শাখার সভাপতি ও উৎসব কমিটির আহ্বায়ক তাপস মজুমদারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও উৎসব কমিটির সদস্যসচিব মনিরা রহমান মিঠি।
আজ সোমবার সকালে রাজশাহী সাধারণ গ্রন্থাগার মিলনায়তনে উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুদিনের রবীন্দ্র উৎসবে থাকবে সেমিনার, রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত, লোকসংগীত, তিন কবির গান, গণসংগীত এবং কবিতা আবৃত্তি। দেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্র গবেষকরা সেমিনারের আলোচনায় অংশ নেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উৎসব উপলক্ষে রাজশাহী সরকারি পিএন বালিকা বিদ্যালয়, রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল, বিবি হিন্দু একাডেমি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে রবীন্দ্রসংগীত ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত করা হবে। এ ছাড়া রবীন্দ্রনাথের গল্প, গান ও কবিতা অবলম্বনে গত ৫ থেকে ৭ অক্টোবর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে আর্ট ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। চারুকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সুশান্ত অধিকারীর পরিকল্পনা ও তদারকিতে বিভাগের শিক্ষার্থীরা ৭০টি ছবি এঁকেছে। উৎসবে এসব ছবি প্রদর্শিত হবে।
জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ রাজশাহী শাখা আয়োজিত এবারের উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ করবেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার বসাক।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ রাজশাহী শাখার প্রধান উপদেষ্টা ও কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ রাজশাহী শাখার সভাপতি তাপস মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক মনিরা রহমান মিঠি উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তাপস মজুমদার বলেন, ‘রোহিঙ্গাসহ বিশ্বব্যাপী শরণার্থী সংকটের এই বিরূপ সময়ে মানুষের শুভবোধকে জাগ্রত করার প্রচেষ্টায় এবং সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে মানুষের সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করে মানবিক বিশ্বসমাজ গড়তে এবারের আয়োজন কিছুটা হলেও অবদান রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’