আশুগঞ্জে দুপক্ষের সংঘর্ষে ১৯ জনের সাজা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে গতকাল শনিবার দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৯ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৮ জনই নারী।
ওই ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জনকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড, বাকি দুজনকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিরুল কায়সার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই সাজা দেন।
এর আগে শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত পুলিশ দুর্গাপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১৯ জনকে আটক করে।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আবদুল শিপা (২৫), রুবিনা (২৪), সাজেদা (৬০), আয়েশা বেগম (৪০), তৈয়বা খাতুন (৪০), মনোয়ারা বেগম (৪৫), আকলিমা, মিনা বেগম (৩৫), নাছিমা (৪৫), সুহেদা বেগম(২২), নীলুফা বেগম (৫০), মমতাজ বেগম (৩৫), মমতাজ বেগম(৪৫), তহুরা বেগম (৩৫), ফরিদা বেগম (৪৫), নীলুফা বেগম (৫০), হাবিব (৩৫), জেলার সরদর উপজেলার সুহলপুরের বিউটি (৪০) এবং আশুগঞ্জ চরচারতলা এলাকার তাহমিনা বেগম (৩৫)। তাদের মধ্যে তৈয়বা খাতুন ও ফরিদা বেগমকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাহমিনা বেগমকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিরুল কায়সার বিষয়টি জানিয়েছেন।
দুর্গাপুর ইউনিয়নের নজারবাড়ির সাবেক ইউপি সদস্য মনু মিয়া ও একই এলাকার মগল মিয়ার পক্ষের লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জেরে গতকাল শনিবার দুপুরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় মনু মিয়ার বাড়িঘরসহ ১০ থেকে ১২টি ঘরে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। খবর পেয়ে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।