মুক্তাগাছা উপজেলা আ. লীগের সভাপতি ও সম্পাদককে বহিষ্কারের দাবি
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য কে এম খালিদ বাবু এবং সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন সরকারকে দুর্নীতিবাজ ও হাইব্রিড আখ্যা দিয়ে দল থেকে তাঁদের বের করে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল হক মনিকে অনুপ্রবেশকারী উল্লেখ করে তাঁকেও দল থেকে বিতাড়িত করার দাবি জানানো হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার সাবেক ছাত্র ও যুবনেতারা এসব দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাবেক ছাত্রনেতা উপজেলা যুবলীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কে এম খালিদ বাবু স্থানীয় বাসিন্দা না হয়েও ২০০৮ সালের নির্বাচনে হঠাৎ করেই দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন। এর পর থেকেই তিনি স্বাধীনতাবিরোধী একটি চক্রের পাশাপাশি জামায়াত-বিএনপির একটি অংশকে কাছে রেখে আওয়ামী লীগের প্রকৃত নেতাকর্মীদের দূরে ঠেলে দেন। এ ছাড়া তিনি চক্রান্ত করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন এবং বিল্লাল হোসেন সরকারকে সাধারণ সম্পাদক করেন। সরকারের সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড একতরফাভাবে বাস্তবায়নের নামে লুটপাট করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ওই নেতাদের দিয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে কোনোভাবেই বিজয়ী করা সম্ভব নয়। উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে তাঁদের বিতাড়িত করে দালালমুক্ত আওয়ামী লীগ গঠনের দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তারাটী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমীন, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নয়ন কুমার।
পরে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কে এম খালিদ বাবু বলেন, ‘যারা সংবাদ সম্মেলন করেছে তারা দলের কোনো পদে নেই। তাই তারা সংবাদ সম্মেলন করে কী বলল না বলল, তা নিয়ে ভাবছি না।’
তবে এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে দেখবেন।