সাতক্ষীরায় সাত রোহিঙ্গা উদ্ধার
সাতক্ষীরায় এক শিশুসহ সাত রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে এরা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বিজিবি জানিয়েছে, প্রতারকের খপ্পরে পড়ে এরা বান্দরবান থেকে সাতক্ষীরায় চলে আসে।
আজ মঙ্গলবার সকালে ওই সাতজনকে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী হিজলদি বাজার থেকে উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ, দুই নারী ও দুই শিশু আছে।
বিজিবির হিজলদি বিওপির নায়েক সুবেদার মোশাররফ হোসেন জানান উদ্ধারকৃতরা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসে প্রতারকের খপ্পরে পড়ে । তারা তাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। পরে তাদেরকে কক্সবাজারের টেকনাফ অথবা উখিয়া শরণার্থী শিবিরে পৌঁছে দেওয়ার নাম করে বান্দরবানের লামা থেকে গাড়িতে তুলে দেয়। এরপর কয়েকদিন ধরে ঘুরতে ঘুরতে তারা সর্বশেষ সাতক্ষীরার কলারোয়ার হিজলদি সীমান্তে পৌঁছায়। খবর পেয়ে বিজিবি তাদের উদ্ধার করে।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা সদস্যরা হলেন পারভেজ আলম (২০), সাইফুল ইসলাম (২৭), সেলিম আহমেদ (২৮), হাসনা বানু (২৪), শুকতারা বেগম (১৯), জহির আহমেদ (২০) ও মরিয়ম বেগম (আট মাস)।
মোশাররফ হোসেন জানান, তারা রাখাইনের মংডু জেলার বড়শিকদারপাড়া ও ধৌনসিলপাড়ার বাসিন্দা। তাদের বিজিবির ৩৮ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে আনা হয়েছে।
ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আরমান বলেন, ‘উদ্ধার হওয়ার রোহিঙ্গাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’ পরে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
গত ২২ সেপ্টেম্বর কলারোয়া বাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে আরো ১৩ রোহিঙ্গা সদস্যকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাদের কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।