জসিম উদ্দীন মণ্ডলের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলনের প্রখ্যাত নেতা, বিশিষ্ট রাজনীতিক জসিম উদ্দীন মণ্ডলের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বর্ষীয়ান এই কমিউনিস্ট নেতার মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
জসিম উদ্দীনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অনারারি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনোয়েদ সাকী প্রমুখ।
শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, জসিম উদ্দীন মণ্ডল একজন জনদরদি মানুষ ছিলন। তিনি বাংলাদেশের সমাজ প্রগতির অব্যাহত কর্মকাণ্ডে বিশেষ ভূমিকা রেখে গেছেন। প্রগতিশীল আন্দোলন-সংগ্রামে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী বলেন, প্রগতিশীল মানুষদের মধ্যে তিনি দৃষ্টান্ত ছিলেন। তিনি তাঁর রাজনৈতিক দর্শন থেকে বিন্দুমাত্র সরেননি। তাঁর অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে অনেক বেশি প্রভাবিত করছে।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘তিনি অনেক বড় মাপের নেতা ছিলেন। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল না। তবে ওনার রাজনৈতিক দর্শনকে শ্রদ্ধা জানাই।’
জসিম উদ্দীন মণ্ডল বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। গতকাল সোমবার ভোরে তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।
দুপুর সাড়ে ১২টার পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজার জন্য তাঁর লাশ নিয়ে যাওয়া হয়। জানাজা শেষে কুষ্টিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর লাশ। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর লাশ ঈশ্বরদীতে নিয়ে যাওয়া হবে। আগামীকাল বুধবার সকালে শ্রদ্ধা নিবেদন ও জানাজার পর ঈশ্বরদীতে তাঁর দাফন হবে।