বর্তমানে নাগরিকদের হাতে লেমিনিটেড জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) পরিবর্তে দেওয়া হচ্ছে উন্নতমানের সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ স্মার্টকার্ড। দেশে বর্তমানে ভোটার রয়েছে ১০ কোটি ১৮ লাখের মতো। কিন্তু প্রাথমিকভাবে নয় কোটি নাগরিকের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দেওয়ার জন্য প্রকল্প নিয়েছে ইসি।

আর এই নয় কোটির বাইরে যাঁরা থাকবেন এবং যদি কারো স্মার্টকার্ডে কোনো ভুল থাকে, তবে সেটি সংশোধন করতে গেলে প্রাথমিকভাবে লেমিনেটেড এনআইডিই দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

এ ক্ষেত্রে এনআইডি সংশোধন-সংক্রান্ত সেবায় নাগরিকদের ভোগান্তি কমাতে ইসি এরই মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে সংশোধন-সংক্রান্ত আবেদনপত্র জমা দেওয়ার বিধান করেছে। সেখানে আবেদনপত্র জমা নিলেও যেহেতু একমাত্র কেন্দ্র থেকে সংশোধন করা যায়, তাই এতেও নাগরিকদের ভোগান্তি তেমনটা কমছে না।

এ জন্য নাগরিকদের ভোগান্তি কমাতে এবার জেলা কার্যালয়ে হারানো, পুড়ে যাওয়া, নষ্ট হয়ে যাওয়া এনআইডি রি-প্রিন্ট করার চিন্তা করছে কমিশন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান জানান, হারানো, পুড়ে যাওয়া, নষ্ট হয়ে যাওয়া, মোটকথা যেই এনআইডিতে কোনো সংশোধন করতে শুধু প্রিন্ট দিলেই হবে এমন কার্ড জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে প্রিন্ট দেওয়ার বিষয়ে কমিশন চিন্তাভাবনা করছে।

এটি কবে থেকে শুরু করা হবে—জানতে চাইলে অতিরিক্ত সচিব বলেন, এটা খুবই প্রাথমিক আলোচনার মধ্যে রয়েছে। কারণ, এটি করতে হলে প্রতিটি জেলার জন্য মেশিন কিনতে হবে। তার পর কেউ তার এনআইডি প্রিন্ট করতে বললে সেটি খুঁজে পেতে হলে সেন্ট্রাল ডাটাবেজের সঙ্গে ওই কার্যালয়ের সার্ভার স্টেশনের সঙ্গে ঢাকার কানেক্টিভিটি লাগবে। এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

প্রথম থেকে এটি সংশোধন বা হারানো সেবা বিনামূল্যে দেওয়া হলেও ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ফি নেওয়া শুরু করে কমিশন।