মুন্সীগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত মাহবুব আলম (২৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সাহিদ মো. লিটনের সঙ্গে একই ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মমিনুর রহমানের বিরোধ চলছিল। উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে ইউপি চেয়ারম্যান সাহিদ লিটনের সমর্থক বিল্লাল, রুহুল আমিন, আজিজুল, আল আমিনসহ ১২ থেকে ১৩ জন হামলা চালায় মমিনুর রহমানের সমর্থক মাহবুব আলমের ওপর। এ সময় তাঁরা রামদা, চাপাতি দিয়ে মাহবুবকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসী মাহবুবকে উদ্ধার করে প্রথমে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠায়। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আহত মাহবুবকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। শুক্রবার দিবাগত রাতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় মাহবুবের।
এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান সাহিদ মো. লিটনসহ বাকিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা। থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে গোটা এলাকায়। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
নিহত মাহবুব আলমের ভাবী রোজিনা বেগম বাদী হয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে ইউপি চেয়ারম্যান সাহিদ মো. লিটনসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে গজারিয়া থানায় একটি মামলা করেন।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেদায়াতুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়েছে। নূরে আলম নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান সাহিদ লিটনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনার দিন তিনি ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। আর চেয়ারম্যান হিসেবে অনেক লোক তাঁর কাছে আসতে পারে। তাই বলে সবাই তাঁর সমর্থক নয়। রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করার জন্য এ মামলায় তাঁকে জড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।