ভৈরবে শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমী অনুষ্ঠিত
ভৈরবে শনিবার নানা আনুষ্ঠানিকতায় শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমী অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাঁচদিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ দিনে অকুণ্ঠ আরাধনা আর ভক্তিতে মণ্ডপে মণ্ডপে মা দুর্গাকে বিদায় জানানো হয়। রাতে হয় প্রতিমা বিসর্জন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, নৌকায় করে আসা দেবী দুর্গা ধরনীর সব অকল্যাণ বিনাশ করে শস্যা পূর্ণা বসুন্ধরা উপহার দিয়ে স্বর্গে গমন করবেন আজ ঘোড়ায় চড়ে। শারদীয় দুর্গোৎসবের দশমী উপলক্ষে উপজেলার ২১টি পূজামণ্ডপে দিনব্যাপী আজ ছিল বিদায়ের সুর। দুর্গাভক্তদের চোখে জল। মুখে হারানোর বেদনার অভিব্যক্তি।
সকাল থেকে শুরু হয় ঘট ও চর্ণ বিসর্জন, পুণ্যস্নান, দেবীর চরণ আশীর্বাদ, চণ্ডিপাঠ, অঞ্জলী, ভোগ, পুষ্পাঞ্জলি ও যজ্ঞসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা। শেষ দিনে মা দুর্গার গমনে নিজেদের মঙ্গল কামনায় মণ্ডপগুলোতে উপচে পড়া দর্শনার্থীদের ভিড়।
মা দুর্গার চরণের সিঁদুর সিঁথিতে লাগিয়ে দিচ্ছেন একে অন্যকে। শিক্ষার্থীরা তাদের বই-খাতা এবং ব্যবসায়ীরা তাদের হিসাবের খাতা নিয়ে ছুটে এসেছেন মায়ের চরণ ছোঁয়াতে।
একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সানন্দা চক্রবর্তী, পঞ্চম শ্রেণির দীপ্ত সাহা, দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শর্মিলা সাহা ও অনন্যা হালদার বই-খাতা নিয়ে আসে গোপাল জিউর মন্দিরে। তারা জানায়, মা দুর্গা হলেন মঙ্গলকারিণী। শুভর ধারক। তাঁর চরণ ছোঁয়া বই-খাতায় বিদ্যা অর্জনে মঙ্গল অর্থাৎ সফলতা আসবে।
একই বিশ্বাসের কথা বললেন ভৈরব বাজারের ব্যবসায়ী রিপন ঘোষ আর শেখর চন্দ্র দাস। তাঁরা তাঁদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের হালখাতা নিয়ে এসেছেন কালীবাড়ি মন্দিরে। ব্যবসার উন্নতিতে মায়ের আশীর্বাদ নিতে।
পরিবার-পরিজনসহ নিজের মঙ্গল কামনায় সকাল থেকে সব পূজায় অংশ নিয়ে পুষ্পাঞ্জলি গ্রহণ ও সিথিতে সিঁদুর ধারণ করেছেন চাকরিজীবী সুমা যাদব, অন্বেষা যাদব, গৃহিণী শুনুকা সাহা। সব পাপমোচনে মাকে করেছেন প্রণাম, জানালেন তাঁরা।