রাজধানীতে ‘কোটি টাকা আত্মসাৎকারী’ চক্রের পাঁচজন আটক
চাকরি ও প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎকারী একটি প্রতারক চক্রের পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর পল্লবী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচজনকে আটক করা হয়।
আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিবিআইয়ের ঢাকা মহানগর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মাইনুল হোসাইন।
আটকৃতরা হলো হারুন-অর-রশিদ ওরফে রামনাথ ঠাকুর (৫৬), মো. উজ্জ্বল চৌধুরী ওরফে জি. মোস্তফা কামাল (৪৭), মো. শামছুল আলম মজুমদার ওরফে কুপা শামছু (৪৮), মো. আমিনুল ইসলাম (৩৭) ও মো. মুকছেদুর রহমান আকন্দ ওরফে আল-আমিন (৩৮)। তাদের মধ্যে হারুন-অর-রশিদ ওই চক্রের মূল হোতা বলে পিবিআই দাবি করেছে।
অতিরিক্ত ডিআইজি মাইনুল হোসাইন জানান, যাঁরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, ব্যাংকার ও অবসরপ্রাপ্ত সচিব রয়েছেন।
প্রতারণার বর্ণনা দিয়ে মাইনুল হোসাইন জানান, এই প্রতারক চক্রের লোকেরা নিজেদের ভুয়া একটি কোম্পানির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), মার্কেটিং অফিসার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে তাদের প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিত। সেই সঙ্গে তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হওয়ার কথাও বলত এবং তাদের প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হলে রামনাথ ঠাকুর নামের ভারতীয় এক বড় ব্যবসায়ীর সঙ্গে ব্যবসার সুযোগ পাবেন বলে প্রলোভন দেখাত। এসব প্রলোভন দেখিয়ে তারা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিত।
পিবিআইয়ের জ্যেষ্ঠ এই কর্মকর্তা জানান, প্রতারক চক্রের কাছ থেকে একটি ব্রিফকেস, সাতটি মোবাইল ফোনসেট, দুই বান্ডিল মার্কিন ডলার, দুই বান্ডিল পুরাতন ১০ টাকার নোট ও আটটি তাসের বান্ডিল উদ্ধার করা হয়। এই চক্রের অন্যদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো জানান, পাঁচজনের বিরুদ্ধে পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় একটি মামলা করেন।