রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন ও রাশিয়ার সমালোচনায় ওবায়দুল
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী ও দোসরদের চালানো গণহত্যাকে সমর্থন করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ত্রাণের আশ্বাস দেওয়ায় চীন ও রাশিয়ার সমালোচনা করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দেশ দুটিকে এমন অবস্থান থেকে সরে আসারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজার মহানবমী পরিদর্শনে গিয়ে ওবায়দুল কাদের দুই দেশের সমালোচনা করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একদিকে ত্রাণের আশ্বাস, অন্যদিকে একটি অমানবিক গণহত্যাকে সমর্থন করা এক ধরনের দ্বিচারিতা। আমরা বিশ্বাস করি, চীন ও রাশিয়া এই দ্বিচারিতা থেকে ফিরে আসবে।’
‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের মাধ্যমে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মুক্ত আলোচনা সম্পর্কে আমরা জানতে পারছি যে, চীন ও রাশিয়া রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মানবিক সাহায্য যাঁরা করতে চান, করবেন। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের বর্বর গণহত্যাকে সমর্থন করা দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক। আমি আশা করি, এটাই তাদের শেষ পদক্ষেপ নয়। চীন ও রাশিয়া এ মানবিক সংকট ও মর্মান্তিক পরিস্থিতিতে মানবতার, সত্য, ন্যায় ও যৌক্তিকতার পক্ষে অবস্থান নেবে। দ্বিচারিতা আমরা আশা করি না।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘চীন ও রাশিয়া বৃহৎ শক্তি। তারাও আমাদের বন্ধু দেশ। এ মানবিক সংকটে তারা যথাযথ ভূমিকা পালন করবে। এ মানবিক সংকটে আমাদের সাহায্যের অভাব নেই। ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। তারাও আমাদের সাত হাজার টন ত্রাণ সাহায্য দিয়েছে, যার প্রথম চালান আমি নিজেই গ্রহণ করেছি। সাহায্য আমরা পাচ্ছি, আমাদের দেশের ভেতর থেকেও এত সাহায্য আসছে যে এখনো আমাদের সরকারি ত্রাণ ব্যবহারের প্রয়োজন হয়নি।’
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মুকুল বোস, কার্যনির্বাহী সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, মেরিনা জামান, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত সেনগুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার পাল ও ঢাকা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিএল চ্যাটার্জি।