বিএনপি নেতাদের পাচার করা সম্পদের তদন্ত চলছে : প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবার ও দলটির নেতাদের বিদেশে পাচার করা সম্পদের তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘তদন্ত করে সঠিক তথ্য যখনই পাব, নিশ্চয়ই আমরা টাকা ফেরত আনার পদক্ষেপ নেব এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’
আজ বুধবার বিকেলে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের গ্লোবাল ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্কের (জিআইএন) রিপোর্ট-বিষয়ক এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
সংসদে ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, ‘গ্লোবাল ইনটেলিজেন্স নেটওয়ার্কের (জিআইএন) প্রতিবেদন অনুযায়ী শুধু দুবাই নয়, অন্তত ১২টি দেশে জিয়া পরিবারের সম্পদ আছে।’ এরপর তিনি বিদেশে পাচার করা বিএনপি নেতাদের সম্পদের হিসাব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, এসব তথ্য সরকার জানে কি না?
জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ধন্যবাদ জানাচ্ছি, মাননীয় সংসদ সদস্যকে, তিনি বিষয়টা তুলে ধরেছেন। কারণ, আমরা যদি তুলে ধরি, সরকার থেকে তুলে ধরলেই আমাদের দেশের বহু লোক আছে তারা মায়াকান্না কানবে আর বলবে যে আমরা নাকি হিংসাত্মক হয়ে করি। যেহেতু এটা অপজিশনের (বিরোধী দল-জাতীয় পার্টি) কাছ থেকে এসেছে আশা করি মানুষ এটা উপলব্ধি করতে পারবে যে এই জনগণের সম্পদ কীভাবে লুট করেছে যার কারণে বাংলাদেশ পাঁচ-পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, কোনো উন্নতি করতে পারে নাই, দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবনতি ঘটেছিল। উন্নতি বিএনপি-জামায়াতের আমলে হয়নি।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে খুন-সন্ত্রাস-নির্যাতনের পাশাপাশি দুর্নীতি আর অর্থ পাচার করেছে। তিনি জানান, দেশের ইতিহাসে তার সরকার-ই প্রথম, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর সিঙ্গাপুরে পাচার করা অর্থ ফেরত আনে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের সম্পদ যারা লুটে নিয়েছে নিশ্চয়ই তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এই টাকা তদন্ত করে সঠিক তথ্য যখনই পাব, নিশ্চয়ই আমরা ফেরত আনার পদক্ষেপ নেব। ইতিমধ্যে কিছু পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। তদন্ত চলার স্বার্থে এখন সব হয়তো আমি বলতে পারলাম না।’
এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের মানি লন্ডারিং বিষয়ক তদন্ত সেলে বিষয়গুলোর তদন্ত চলছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।