বকেয়া পরিশোধের দাবিতে গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভ
গাজীপুরে কালীগঞ্জের বিলুপ্ত মসলিন কটন মিলের সাবেক শ্রমিকরা বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে কালীগঞ্জ ছাত্র-শ্রমিক-জনতা ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ বিক্ষোভ হয়।
ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মো. সাদ্দাম হোসেন জানান, ২০১৩ সালের আগস্টে কালীগঞ্জের বন্ধ হওয়া মসলিন কটন তৎকালীন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী সাবেক শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ শর্তে মিলটি হা-মীম গ্রুপের মালিক এ কে আজাদের কাছে হস্তান্তর করেন। হস্তান্তরের পর হা-মীম গ্রুপ এ কারখানার নাম পরিবর্তন করে রিফাত ফ্যাশন লিমিটেড নামে চালু করে। কারখানা হস্তান্তরের পর মসলিন কটন মিলের সাবেক শ্রমিকদের মধ্যে মাত্র কয়েকজন শ্রমিকের কিছু অংশ পাওনাদি পরিশোধ করলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ সাবেক শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধ করেনি। কারখানা হস্তান্তরের পর চার বছর অতিবাহিত হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রমিকের বকেয়া পাওনাদি এ পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়নি। এতে ওই সাবেক শ্রমিক এবং তাদের সন্তানদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়। রিফাত গার্মেন্টসের ১ নম্বর গেইটের সামনে মসলিন কটন মিলের সাবেক শ্রমিক ও তাদের স্বজনরাসহ সংগঠনের কর্মীরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে।
এ সময় সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন আবুল বাশার কাজল, তানভীর মোল্লা, তৌহিদুল ইসলাম তাওহিদ, এম আই লিখন, আরিফ মোড়ল প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মসলিন কটন মিলের সাবেক শ্রমিকদের সব ধরনের বকেয়া পরিশোধ না করা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যহত থাকবে। শ্রমিকদের পাওনাদি দ্রুত পরিশোধ করা না হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে রিফাত গার্মেন্টসের ব্যববস্থাপক মোবারক হোসেন শামীম জানান, আসলে এটা এমন কোনো ঘটনা না। সাবেক শ্রমিকরা তাদের বকেয়া পাওনাদি পরিশোধের দাবিতে কারখানার গেইটের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এদিকে হা-মীম গ্রুপের কনসালটেন্ট একেএম মাহফুজুল হক জানান, এরই মধ্যে ওই মিলের ৩৪১ জনের শ্রমিকের বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে। আর বাকিটা সরকারের কাছে প্রক্রিয়াধীন আছে। এটা দেওয়ার কথা সরকারের। কারণ হা-মীম গ্রুপ এ মিলটি কেনার সময় মসলিন কটন মিলের শ্রমিকদের পাওনা বকেয়াদি সরকারকে পরিশোধ করেছে। তাই ওই শ্রমিকদের পাওনাদি সরকারই পরিশোধ করার কথা।