রাজশাহীর সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তার জামিন নামঞ্জুর
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হাতে গ্রেপ্তার হওয়া রাজশাহীর সাবেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাশেমের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার তাঁকে কারাগার থেকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ হাজির করা হয়। এ সময় তাঁর পক্ষে জামিনের আবেদন জানান অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান মিঠু। পরে আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারক মাহাবুবুর রহমান জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
রাজশাহী কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক আবুল হাশেম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জামিন আবেদন নাকচের পর আদালতের নির্দেশে শিক্ষা কর্মকর্তা বিকেলে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় রাজশাহীর সাবেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাশেমকে সোমবার বিকেলে গ্রেপ্তার করে দুদক। পরে তাঁকে রাজপাড়া থানায় সোপর্দ করা হয়।
দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় উপপরিচালক (ডিডি) শেখ ফায়াজ আলম বলেন, একজন শিক্ষা কর্মকর্তা হয়েও আবুল কাশেম কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি নিয়ে বড় ধরনের অনিয়ম করেছেন। এ জন্য তাঁকে গ্রেপ্তার করে রাজপাড়া থানায় সোপর্দ করা হয়। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে রাজপাড়া থানায় মামলা করেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ।
২০১৫ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৪০ জন শিক্ষার্থীর নম্বর বাড়িয়ে দিয়ে তাদের বৃত্তি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে খবর প্রকাশের সূত্র ধরে বিষয়টি তদন্ত শুরু করে দুদক। প্রাথমিক তদন্তে দুদকের কাছে অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ মেলে। এ জন্য আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে সোমবার রাজপাড়া থানায় মামলা করে দুদক।
প্রাথমিকের বৃত্তিতে ফল জালিয়াতির অভিযোগটি এর আগে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরও তদন্ত করেছিল। সেখানেও জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়েছে। পরে এ ঘটনায় ওই ৪০ শিক্ষার্থীর বৃত্তি বাতিল করা হয়। এ জালিয়াতির ঘটনায় আবুল কাশেমসহ তিন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়েছে।