নতুন মা-বাবার কোলে বিমানবন্দরে পাওয়া সেই শিশু
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উদ্ধার হওয়া ১০ মাসের শিশু ফাতেমা এখন তার নতুন মা-বাবার ঘরে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার কিশোর আদালতের বিচারক হাফিজুর রহমানের আদেশে শিশুটিকে নতুন মা-বাবার কোলে তুলে দেওয়া হয়।
আদালতে সরকারপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে জানান, বিচারক শিশুটির নামে পাঁচ লাখ টাকা ব্যাংকে স্থায়ী আমানত (এফডিআর) রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে মোতাবেক শিশুটির নতুন মা-বাবা এফডিআর করে আদালতে তার প্রমাণ দাখিল করেন। পরবর্তী সময়ে বিচারক শিশুটিকে আইনজীবী সেলিনা দম্পতির কাছে হস্তান্তরের আদেশ দেন।
পিপি জানান, আজ বেলা ৩টায় শিশু ফাতেমাকে হস্তান্তর করেছে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার।
এর আগে গত ২৫ জুলাই আদালতে শিশুটিকে জিম্মায় নেওয়ার জন্য ছয় অভিভাবক আদালতে আবেদন করেন। তাঁরা হলেন আইনজীবী সেলিনা আক্তার, শ্যামলী আক্তার, লায়লা নূর, নিঝুম আক্তার, শাহনাজ বিনতে হান্নান ও দুলসাদ বেগম বীথি।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ৯ জুলাই জর্ডান থেকে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে ফিরছিলেন শম্পা নামের এক নারী। বিমানে শম্পার সঙ্গে এক নারীর পরিচয় হয়। ওই নারীর কোলে শিশুটি ছিল। ওই বিমান অবতরণের পর কাস্টমস থেকে মালপত্র নিয়ে বের হতে শুরু করেন যাত্রীরা। তখন বিমানবন্দরের ক্যানোপি পার্কিং এলাকায় স্বজনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন শম্পা। এ সময় বিমানে পরিচয় হওয়া ওই নারী তাঁর কাছে ছুটে আসেন। অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আপা আমার শিশুটাকে একটু ধরেন। ভেতরে মালপত্র রয়েছে, নিয়ে আসছি।’
তখন আগে থেকে কথা হওয়ায় সরল বিশ্বাসে শিশুটিকে কোলে তুলে নেন শম্পা। কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও সেই নারী আর ফেরেননি। দুই থেকে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করে স্বপ্না তাঁর বাসায় শিশুটিকে নিয়ে যান। পরের দিন বিকেল ৩টার দিকে শিশুটিকে নিয়ে বিমানবন্দরের এপিবিএন পুলিশের কাছে আসেন শম্পা।