নায়করাজ রাজ্জাকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে রাজ্জাকের মৃত্যু হয় বলে জানান চিকিৎসক। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
দেশের বিনোদন জগতে রাজ্জাকের অবদান স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রাজ্জাকের মৃত্যুতে দেশের চলচ্চিত্র জগৎ এক কিংবদন্তিকে হারিয়েছে। স্বাধীনতার পরের যুগে চলচ্চিত্রের প্রসারের ক্ষেত্রে রাজ্জাকের ভূমিকার কথা প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে স্মরণ করেন।
রাজ্জাকের শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন শেখ হাসিনা এবং তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতার টালিগঞ্জে। তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘অবুঝ মন’, ‘চোর’, ‘নাচের পুতুল’, ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘বেইমান’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘রংবাজ’ ‘ওরা ১১ জন’, ‘আলোর মিছিল;, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘অশিক্ষিত’, ‘বড় ভালো লোক ছিল’, ‘চন্দ্রনাথ’ ও শুভদা।
নায়করাজ ১৯৭৬ সালে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন ‘কি যে করি’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য। এরপর অশিক্ষিত (১৯৭৮), বড় ভালো লোক ছিল (১৯৮২), চন্দ্রনাথ (১৯৮৪), যোগাযোগ (১৯৮৮) চলচ্চিত্রে জন্য। ২০১১ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনি আজীবন সম্মাননা অর্জন করেন।
রাজ্জাক প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। নায়করাজ শুধু নায়ক হিসেবেই নয়, পরিচালক হিসেবেও সফল। পরিচালনা করেছেন প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র। সর্বশেষ তিনি ‘আয়না কাহিনী’ ছবিটি নির্মাণ করেছেন। চলচ্চিত্রের বাইরে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করেছেন নায়করাজ রাজ্জাক। তাঁর প্রযোজনা সংস্থার নাম রাজলক্ষ্মী প্রোডাকশন।