পাবনায় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
পাবনার কাশীনাথপুরে যৌতুকের দাবিতে মিতু খাতুন (২৩) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বজনদের অভিযোগ, তাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে শ্বশুড়বাড়ির লোকজন।
এদিকে, প্রাথমিক অবস্থায় পুলিশের ধারণা, মিতু আত্মহত্যা করেছেন। থানায় অপমৃত্যু মামলার পর পুলিশ আজ রোববার দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য মিতুর মৃতদেহ পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত মিতুর স্বামী রনি মিয়া। ঘটনার পর থেকে তিনিসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক।
নিহত মিতুর চাচা আবদুল খালেক জানান, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার চরাচিথুলিয়া গ্রামের মিতু খাতুনের সঙ্গে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাশীনাথপুর বাজারের রনি মিয়ার সঙ্গে দেড় বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ব্যবসা করার কথা বলে মিতু খাতুনের কাছে স্বামী রনিসহ তার পরিবারের অন্য সদস্যরা দুই লাখ টাকা দাবি করে। মিতুর বাবার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জামাই রনিসহ তার পরিবারের লোকজনকে জানায়। এরপর থেকেই মিতু খাতুনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
নিহত মিতুর খালু আলমগীর হোসেন জানান, শনিবার বিকেলে মিতুকে বেধড়ক মারধর করে মিতুর স্বামী রনি, শ্বাশুড়ি জরিনা খাতুন ও ফুফু শ্বাশুড়ি ডালিয়া বেগম। মারধরের একপর্যায়ে অবস্থার অবনতি মিতুর গলায় রশি দিয়ে পেঁচিয়ে মিতু আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে দ্রুত তাকে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে চিকিৎসকরা পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করে। রাতেই মিতুকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে মিতু মারা যান।
মিতুর বাবা মুকুল হোসেন বলেন, ‘যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় আমার মেয়েকে পিটিয়ে গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মোহাম্মদ দেলওয়ার হাসান ইনাম বলেন, তার ধারণা মিতুর আত্মহত্যা করেছেন। এ ব্যাপারে থানাতে একটি মামলা করা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।