যশোরে সাবেক এমপি খান টিপু সুলতানের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা
যশোর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খান টিপু সুলতানের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন যশোর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এখানে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনারও দেওয়া হয়।
আজ রোববার বিকেলে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে খান টিপু সুলতানের মরদেহ যশোর আনা হয়। বাদ আসর যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে জানাজা হয়। জানাজায় রাজনীতিক, শহরের বিশিষ্ট নাগরিকসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেন। জানাজা শেষে মরদেহ নেওয়া হয় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে। সেখানে দলীয় পতাকা দিয়ে মরহুমের মরদেহ ঢেকে দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার। এরপর ফুল দিয়ে মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পীযূষকান্তি ভট্টাচার্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন।
এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ড, যুবলীগ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, যুব মহিলা লীগ, যশোর পৌরসভা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধা জানায়। পরে মরহুমের মরদেহ নেওয়া হয় তাঁর নির্বাচনী এলাকা যশোরের মনিরামপুরে।
এর আগে আজ জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় বীর মুক্তিযোদ্ধা খান টিপু সুলতানের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষে সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস, ডেপুটি স্পিকারের পক্ষে সংসদ সদস্য মো. মনিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও হুইপদের পক্ষে হুইপ মো. শাহাব উদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে যুগ্ম সম্পাদক আবদুর রহমান, বিরোধীদলীয় নেতার পক্ষে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নোমান এবং দলীয় নেতারা মরহুমের মরদেহে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
মরহুমের জানাজায় সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ সর্বস্তরের নাগরিক, রাজনৈতিক সহকর্মী, গুণগ্রাহী, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শরিক হন।
এর আগে মরহুমের রাজনৈতিক কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেন হুইপ শাহাব উদ্দিন ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী। পরে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
মস্তিস্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এই বর্ষিয়ান নেতা। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।