আসছে কালা তুফান-নবাব-সুলতান!
কালো মেঘের মতো গায়ের রং। চেহারাও দশাসই। পুরো ৩৩ মণ ওজন। এ কারণেই সেটির নাম রাখা হয়েছে কালা তুফান। চেহারা ও নামের সঙ্গে মিল রেখে দামও ধরা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। আসছে ঈদুল আজহায় কালা তুফানকে হাটে তোলা হবে। কালা তুফানের সঙ্গে হাটে উঠবে নবাব ও সুলতান নামের আরো দুটি গরু। এ দুটির ওজন যথাক্রমে ৩০ মণ ও ২৫ মণ।
বিশাল আকারের এই গরু তিনটি পালন করা হচ্ছে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার শরীফ অ্যাগ্রোভেট নামের একটি খামারে। খামারটি ঘুরে দেখা যায়, শুধু বিভিন্ন জাতের ও দেশের গবাদি পশুই নয়, রয়েছে মীর কাদিমসহ বিভিন্ন দেশীয় জাতের গরুসহ নানা জাতের ছাগল-ভেড়াও।
খামারের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক রায়হান শরীফ সোহান বলেন, কালা তুফান অস্ট্রেলিয়ার ফ্রিজিয়ান জাতের গরু। খামারের দ্বিতীয় বড় গরুটির ভারতীয় জাতের। সেটির নাম সুলতান। গরুগুলো প্রত্যেকটিই নিজ বৈশিষ্ট্যে আলাদা।
খামারি মোস্তফা কামাল বলেন, প্রাকৃতিক বিভিন্ন খাবার যেমন, গম, ভুষি, কুড়া, খৈল গরুগুলোকে খেতে দেওয়া হ্য়। গরুগুলোকে মোটাতাজা করণের জন্য কোনো ধরনের ক্ষতিকর রাসায়সিক কিংবা ঔষধ ব্যবহার করা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে শরীফ অ্যাগ্রোভেট ছাড়াও কেরানীগঞ্জের কোনাখোলা, আটি, কলাতিয়া, আতাসুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় তিন শতাধিক খামারে পালন করা হচ্ছে উন্নত জাতের ষাঁড় ও বলদসহ নানা ধরনের গবাদি পশু। এসব খামারের পশু মোটাতাজাকরণে যাতে রাসায়নিক ও ইনজেকশন ব্যবহার করা না হয়, সেদিকে রয়েছে সরকারি নজরদারি।
রাজধানীতে আগামী ২৮ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে কোরবানির পশুর হাট। এ বছর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৩টি এবং উত্তরে নয়টিসহ মোট ২২টি গবাদী পশুর হাট নির্ধারণ করা হয়েছে।