রাস্তায় আসুন, জনগণ কার পেছনে দেখা যাবে
ক্ষমতার চেয়ারে বসে অনেক কথাই বলা যায় উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগ নেতাদের সাধারণ মানুষের মতো রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এরপর দেখা যাবে যে জনগণ কার পেছনে আছে। গত সাজানো নির্বাচনে ৫ শতাংশ মানুষও ভোট দেয়নি।
আজ রোববার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আরোগ্য লাভের জন্য ছাত্রদল আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলামগীর।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েমের সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নাকি আট মিনিটও রাস্তায় দাঁড়াতে পারে না। ক্ষমতার চেয়ারে বসে অনেক কথাই বলা যায়। সাধারণ মানুষের মতো রাস্তায় আসুন, দেখা যাবে জনগণ কার পেছনে আছে।’
সরকার যে ভাষায় কথা বলে, তা গণতন্ত্রের ভাষা নয় বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আমরা শঙ্কিত এ জন্য যে পত্রিকায় দেখলাম, ওবায়দুল কাদের প্রধান বিচারপতির বাসায় গেছেন, তার আগে আওয়ামী লীগের মিটিং করে, তারপর…। আরো নিশ্চিত হলাম যে নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেছেন অথচ গতকালও তাঁরা প্রধান বিচারপতিকে তুই-তুকারি করেছে, বলেছিল আদালতের হাত অনেক লম্বা হয়ে গেছে, হাত কেটে দিতে হবে। এই যে সন্ত্রাসের ভাষা, তা একমাত্র আওয়ামী লীগের মুখেই শোভা পায়। সরকার আদালতের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।’
এই অপশক্তি আর দুঃশাসনকে প্রতিবাদ না করলে মানুষের অধিকার, ভোটের অধিকার ফিরে আসবে না বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘জনগণের প্রয়োজনে, সময়ের প্রয়োজনে মুখ খুলতে হবে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে সরকার আমাদের ভাইদের গুলি করে মেরেছে, গুম করেছে।’
এ সময় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানান তিনি।
সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই অন্যায় আর দুঃশাসন বন্ধ করে সিধা পথে আসুন। বাংলাদেশের জনগণ কখনো আওয়ামী লীগের এই অন্যায় মেনে নেবে না। নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার দিন, নয়তো পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না।’