নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে বাদ
প্রশ্নপত্র তৈরিতে অসততার দায়ে ময়মনসিংহের কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে চার বছর এবং দুই শিক্ষককে ভর্তি পরীক্ষা কমিটি থেকে আগামী তিন বছরের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সদস্য সচিব ড. হুমাইয়ুন কবীর আজ রোববার সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওই তিন শিক্ষকের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মাহবুব হোসেনকে চার বছর এবং ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক বিজয় ভূষণ দাস ও অধ্যাপক ইমদাদুল হুদাকে তিন বছরের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার জন্য ‘ক’ ইউনিটের ইংরেজি বিষয়ের জন্য ওই তিন শিক্ষককে প্রশ্নপত্র তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁরা যে প্রশ্নপত্র তৈরি করেছেন, সেটির সঙ্গে ২০১৫-১৬ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার ৪৯টি প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ এম এম শামসুর রহমানকে আহ্বায়ক ও রেজিস্ট্রার আমিনুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুশাররাত শবনব, প্রক্টর ড. জাহিদুল কবীর, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেহনুমা ফেরদৌস, উপপরিচালক (জনসংযোগ) এস এম হাফিজুর রহমান ও আইন কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে প্রশ্নপত্র তৈরিতে ‘অসততার’ প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সদস্য সচিব ড. হুমাইয়ুন কবীর জানান, গত ৫ আগস্ট বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকাস্থ অফিসে এ বিষয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিন্ডিকেটের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৪ জন উপস্থিত ছিলেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে প্রশ্নপত্র তৈরিতে ‘অসততা’র বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। তাই ওই তিন শিক্ষককে ভর্তি পরীক্ষার কমিটি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।