‘আওয়ামী লীগ আর এক মিনিটও সংসদে থাকতে পারে না’
আওয়ামী লীগ আর এক মিনিটও সংসদে থাকতে পারে না বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ শনিবার প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর ৪৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন খন্দকার মোশাররফ।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মেলনকক্ষে ‘আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ’ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সর্বোচ্চ আদালতের আদেশের পর দেশের সংবিধান অনুযায়ী আওয়ামী লীগ আর এক মিনিটও সংসদে থাকতে পারে না। কিন্তু আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উল্টো তারা আন্দোলন করছে, বিচারপতিদের পদত্যাগ দাবি করছে।’ আজ বিরোধী দল এই কাজ করলে আদালত অবমাননার মামলা হতো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু রহস্যজনক। তাঁকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা হয়েছে। এরপর চিকিৎসার জন্য তাঁকে দেশের বাইরে পাঠানো হয়। কিন্তু একই সময়ে দেশে তাঁর মাকে, সারা দেশকে অবরুদ্ধ করে রাখে এই সরকার। একই সময়ে তাঁর বড় ভাইকেও নির্যাতন করে লন্ডনে যেতে বাধ্য করে। নেতাকর্মীদের পাখির মতো গুলি করে মারা হয়। আর এসব কারণেই আরাফাত রহমান অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং স্ট্রোক করেন।’
কোকোর মৃত্যু কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু ছিল না, সবই ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল বলেও দাবি করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা।
মোশাররফ হোসেন আরো বলেন, ‘দেশে তাঁর মরদেহ আসলে জনতার ঢল নামবে তাই তাঁর জানাজার স্থান-ক্ষণ প্রচার করা হয়নি। কারণ সরকার জনতাকে প্রতিহত করতে চাইবে তাই অনেক কিছুই হাইড করেছি (লুকিয়েছি) আমরা।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম এই সদস্য বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে সরকার ভয় পেয়েছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপিকে। এই দেশের জনপ্রিয়তম ব্যক্তি খালেদা জিয়াকে। তাঁকে সরকার ভয় পেত জিয়াউর রহমানকে সেই জন্য। আর তাঁদের সন্তান আরাফাত রহমান সেই ষড়যন্ত্রের শিকার।’
মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) হেলিকপ্টারে গিয়ে ভোট চাইবে আর এর বাইরে কেউ ভোট চাইতে পারবে না। তারা (আওয়ামী লীগ) গত বছর আমাদের ইফতার পার্টি পর্যন্ত করতে দেয়নি।’
মোশাররফ হোসেন আরো বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাঁদের আর উপায় থাকবে না। এত পাপ, চাঁদাবাজি, গুম-খুন, অন্যায় করে কী করে তারা জয়লাভ করবে! তাঁদের নেতারাই বলেন, যে তারা পরাজিত হলে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে, পিঠের চামড়া থাকবে না।’
‘২০১৪ সালের নির্বাচন যদি দেখেন তাহলে কি কেউ রাজি হবেন যে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যেতে! খালেদা জিয়া যে নির্বাচন বয়কট করেছেন, সেখানে ১৫৩ আসনে নির্বাচনই হয়নি। সংবিধানে আছে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা সরকার গঠন করবেন। কিন্তু তারা তো নির্বাচিত নয়, অবৈধ সরকার।’ বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম এই সদস্য।
জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলমগীর হোসেনসহ অন্য নেতারা।