মেঘনার ভাঙনে বিলীনের পথে মুন্সীগঞ্জের ইসমানির চর
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীর অংশে দেখা দিয়েছে তীব্র নদীভাঙন। মেঘনা তীরের গ্রামগুলোতে এক সপ্তাহে তীব্র স্রোত ও ঢেউয়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অর্ধশত ঘরবাড়িসহ বিস্তীর্ণ ফসলি জমি।
মেঘনার নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে ইসমানি চর গ্রামটি। ভাঙন প্রতিরোধে সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
গজারিয়ার মেঘনা তীরের গ্রাম ইসমানীর চরের বাসিন্দা রিপন হোসেন জানান, জীবনে মেঘনার এমন ভাঙন দেখেননি। গত এক সপ্তাহের অব্যাহত ভাঙনে নিজের বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে। তাই অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। বসতভিটার বেশির ভাগ অংশ মেঘনায় বিলীন হয়ে গেছে।
বালির বস্তা ফেলে ও বাঁশের খুঁটি দিয়ে স্থানীয়ভাবে ভাঙন নিয়ন্ত্রণে সাধারণ মানুষ চেষ্টা করলেও তাতে বিশেষ লাভ হচ্ছে। ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত সরকারের হস্তক্ষেপ ও স্থায়ী সমাধানে ভাঙন ঝুঁকিতে থাকা এলাকাগুলোতে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের দাবি তাদের। শুধু ইসমানীচর নয়, নয়ানগর, গোয়ালগাও, হোসেন্দী, চর বলাকীসহ মেঘনা তীরের গ্রামগুলোতেও ভাঙন চলছে। হুমকির মুখের রয়েছে বিভিন্ন গ্রামের মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুলসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। ভাঙনের আশঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন অনেকেই।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. মামুনুর রশিদ বলেন, ভাঙন ঝুঁকিতে থাকা এলাকাগুলোতে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে, আগামী শুষ্ক মৌসুমে বাঁধের কাজ শুরু হবে।