আদালতে ইউএনও অসম্মানিত হননি : আইনমন্ত্রী
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজী তারিক সালমান আদালতে অসম্মানিত হননি বলে দাবি করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে এনটিভি অনলাইনের কাছে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগে ইউএনওর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় জামিন নাকচ, হাতকড়া পরানো আবার জামিন মঞ্জুর সব বিষয়ের ব্যাপারে আমরা খোঁজখবর নিয়েছি। তাৎক্ষণিকভাবে যা মনে হচ্ছে, ওই ইউএনও কোনো দোষ করেননি। আমরা আশা করছি, তদন্তে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হবেন। এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবেন। প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন।’
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ঘটনাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গেই আমার দপ্তরের সচিবকে ডেকে আনি। তাঁর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। তাঁকে সম্পূর্ণ বিষয়টি খোঁজ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। সম্পূর্ণ বিষয়টি জানার পরে আমরা সংশ্লিষ্ট আদালতের সঙ্গে কথা বলেছি।’
জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ও দুই ঘণ্টা পরে আবার জামিন মঞ্জুর, এতে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেছে কি না বা আদালত চাপে পড়ে তাঁকে জামিন দিয়েছেন কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘বিষয়টি এমন নয়, খোঁজ নিয়ে আমি যতটুকু জানতে পেরেছি, বিচারক প্রথম একটি আদেশ দিয়েছিলেন। কিছু কাগজপত্র কম থাকায় ইউএনওকে আদালতের কাঠগড়ায় বসিয়ে রেখেছিলেন, সম্পূর্ণ কাগজপত্র আদালতে আসার পর তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন। আদালতে ইউএনও অসম্মানিত হননি।’
গত ৭ জুন ইউএনও তারিক সালমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ওবায়দুল্লাহ সাজু। বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক এই সম্পাদককে আজ দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
ইউএনওর বিরুদ্ধে করা মামলায় অভিযোগ আনা হয়, বরিশাল আগৈলঝাড়া উপজেলায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ব্কিৃত করে ছাপা হয়েছে।
তারিক সালমান বর্তমানে বরগুনা সদর উপজেলার ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।