রাজশাহীতে অবিরাম সাপ, নির্বিচারে হত্যা
রাজশাহীর মোহনপুরে দুই সহোদরের শোয়ার ঘর থেকে ৫৯টি গোখরা সাপের বাচ্চা মারা হয়েছে। এ সময় সেখানে থাকা ১৭টি সাপের ডিম নষ্ট করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার মোহনপুর উপজেলার ধোপাঘাটা পূর্বপাড়া গ্রামের নাসির উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নাসির উদ্দিনের ঘরটি মাটির। দুই ছেলে শাবিল হোসেন ও বাবুল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তাদের শোয়ার ঘরে দুটি গোখরা সাপের বাচ্চা বের হয়। বাচ্চা দুটি মারার পর ঘরের দেয়াল খুঁড়ে পাওয়া যায় আরো ৬৫টি সাপের বাচ্চা। সেগুলো মারা হয়। এ সময় ১৭টি ডিম নষ্ট করা হয়েছে।
শাবিল ও বাবুল জানান, বাচ্চাগুলো মারার সময় গর্তের ভেতর চারটি বড় গোখরা সাপ ঢুকে পড়েছে। এলাকাবাসীর ধারণা, ওই বাড়িতে বাচ্চা ও ডিমসহ আরো গোখরা সাপ আছে।
এদিকে, একই উপজেলার খয়রা এলাকার কুব্বাসের বাড়িতে বুধবার রাত ১০টা থেকে শুরু করে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৬টি গোখরা সাপের বাচ্চা মারা হয়েছে। কুব্বাস আলী জানান, বুধবার রাত ১০টার দিকে ঘরে বসে তিনি টিভি দেখছিলেন। এ সময় একটি সাপের বাচ্চা দেখতে পেয়ে মারতে গেলে সেটি খাটের নিচে লুকিয়ে পড়ে। তখন স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় খাট সরিয়ে দেখতে পান সেখানে আরো পাঁচটি সাপের বাচ্চা বসে আছে। তখন সাপগুলো মারা হয়। তিনি বলেন, কিছুক্ষণ পর ঘরে আরো সাপ বের হতে থাকে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘরের মেঝে খুঁড়ে ২১টি সাপ মারা হয়।
এদিকে উপজেলার ধোপাঘাটা পূর্বপাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে সান্টু বাড়ির মেঝে গর্ত খুঁড়ে ৪৮টি গোখরার বাচ্চা মারা হয়।
অন্যদিকে, বুধবার দুর্গাপুর পৌর এলাকার শালঘরিয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে শামীম হোসেনের বাড়ির শোয়ার ঘর থেকে ৩২টি গোখরা সাপ ও ৩০টি ডিম উদ্ধার করা হয়েছে। শামীম হোসেন জানান, বুধবার দুপরে হঠাৎ তাঁর ঘরের ভেতরে একটি বড় আকারের গোখরা সাপকে ইঁদুরের গর্তে ঢুকতে দেখতে পান। এ সময় তিনি লোকজন ডেকে ইঁদুরের গর্তের মুখ বন্ধ করে দেন। পরে তিনি একই এলাকার মামুন নামের এক সাপুড়েকে বাড়িতে ডেকে আনেন। সাপুড়ে এসে তাঁর শোয়ার ঘরের ইঁদুরের গর্ত খুঁড়তে শুরু করলে সেখান থেকে ৩০টি গোখরা সাপের বাচ্চা ও দুটি বড় সাপ বের হয়ে আসে। এ সময় ৩০টি বাচ্চা মেরে ফেলা হলেও বড় দুটি গোখরা সাপ সাপুড়ে মামুনকে দেওয়া হয়। ওই গর্ত থেকে ৩০টি সাপের ডিম উদ্ধার করে সেগুলো নষ্ট করা হয়।