সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি
দৈনিক যুগান্তরের সাংবাদিক ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে ডিআরইউ।
আজ বৃহস্পতিবার ডিআরইউর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ডিআরইউর সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানী সাংবাদিক হেলাল উদ্দীনের জামিন পুনর্বহাল এবং দেশের সব সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য দাবি জানান।
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় দায়ের করা মামলায় আজ বৃহস্পতিবার নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে গেলে হেলাল উদ্দিনের জামিন বাতিল করে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিআরইউ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় দায়ের করা মামলা মুক্ত-স্বাধীন গণমাধ্যমের অন্তরায়। সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এ রকম অস্পষ্ট একটি আইন দেশের গণতন্ত্রের জন্যও ক্ষতিকর। ডিআরইউ দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কিত ৫৭ ধারাটি বাতিলের দাবিতে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই ধারার অপপ্রয়োগের ফলে ডিআরইউর অনেক সদস্যসহ সারা দেশে অসংখ্য সাংবাদিক গ্রেপ্তার ও কারাবরণের শিকার হয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিআরইউ আরো লক্ষ করছে যে, এই আইনে দায়ের করা মামলায় পুলিশ বিবাদীকে যে কোনো অবস্থান থেকে গ্রেপ্তার করতে পারে এবং এটি একটি অজামিনযোগ্য ধারা। সরকারের পক্ষ থেকে ডিআরইউসহ গোটা সাংবাদিক সমাজকে বিভিন্ন সময় আশ্বস্ত করা হলেও বিতর্কিত এই আইনটি বাতিলের ব্যাপারে অদ্যাবধি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং এই আইনের অপপ্রয়োগ বেড়েই চলেছে। যা ডিআরইউসহ গোটা সাংবাদিক সমাজের জন্য উদ্বেগ ও ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ডিআরইউ মনে করে, কোনো সাংবাদিকই আইনের ঊর্ধ্বে নন। এ ক্ষেত্রে কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে সে জন্য দেশে প্রচলিত আইন রয়েছে। কিন্তু তা না করে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা দায়ের করা হচ্ছে, তা একটি গণতান্ত্রিক সরকারের জন্য যেমন বিব্রতকর; তেমনি সাংবাদিক সমাজের জন্যও এটি অত্যন্ত অবমাননাকর।