বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সব সহযোগিতা করা হবে : ত্রাণমন্ত্রী
বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও খামারিদের ঘুরে দাঁড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি বলেন, গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিগ্রস্তদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার ১২টার দিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ্ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ।
ত্রাণমন্ত্রী মায়া বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট ও বেড়িবাঁধ মেরামত ও নির্মাণে পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে কৃষকদের বীজ ও সার বিতরণ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খামারিদের পাশে দাঁড়ানো সরকারের এখন প্রধান কর্তব্য। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, এ বছর হাওরে অকাল বন্যা, ঘূর্ণিঝড় মোরা, পাহাড় ধস ও উত্তরাঞ্চলে আগাম বন্যার মতো চারটি বড় দুর্যোগ সরকার সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করছে।
পূর্বপ্রস্তুতি,তাৎক্ষণিক ত্রাণসামগ্রী বিতরণ, উদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের কারণে প্রত্যেকটি দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব হয়েছে।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জানান, সরকার প্রত্যেকটি জেলার বন্যা পরিস্থিতি সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত বন্যা ও ত্রাণ কার্যক্রমের খোঁজখবর নিচ্ছেন। মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে থেকে বন্যা পরিস্থিতি ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের তদারকি করছেন।
বিএনপির উদ্দেশে মায়া বলেন, বন্যায় অসহায় মানুষদের সাহায্য করা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে ফাঁকা আওয়াজ দেওয়া হচ্ছে। বিএনপি নেত্রী ত্রাণ বিতরণ দূরে থাকুক, বিদেশের মাটিতে পাড়ি জমিয়েছেন। বিএনপি দলীয় মহাসচিব ঢাকায় বসে বড় বড় কথা বলছেন। তারা জনগণের দুঃখ-কষ্ট নয়, নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত আছেন। ফাঁকা আওয়াজ না দিয়ে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ান অনুরোধ জানান মন্ত্রী।
চারটি বড় দুর্যোগে ত্রাণ সহায়তা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, হাওর অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য, ৩৬ হাজার ৮৪০ টন চাল, ৫৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা, গৃহনির্মাণের জন্য ৩০০ বান্ডিল ঢেউটিন ও নয় লাখ লাখ টাকা, কর্মসংস্থানের জন্য ইজিপিপি প্রকল্প থেকে ৮২ কোটি সাত লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সিলেট, মৌলভীবাজার ও উত্তরাঞ্চলের আগাম বন্যা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বন্যা প্লাবিত এসব জেলার জন্য ১২ হাজার টন চাল, তিন কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৫০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, তিন হাজার বান্ডিল ঢেউটিন ও ৯০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক জেলায় পানি বিশুদ্ধকরণ ভ্রাম্যমাণ গাড়ি পাঠানো হয়েছে।