পুলিশকে দেখে যমুনায় ঝাঁপ, ভেসে উঠল লাশ
পাবনার বেড়া উপজেলায় পুলিশকে দেখে যমুনা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে রণজিৎ সাহা (৪০) নামের এক ‘জুয়াড়ির’ মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল বুধবার উপজেলার আমিনপুর থানার মাশুমদিয়া গ্রামে যমুনা নদী থেকে রণজিতের ভেসে ওঠা লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি একই থানার ভবানীপুর গ্রামের রবি সাহার ছেলে।
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে একদল জুয়াড়ি মাশুমদিয়া হাইস্কুলের পিছনে আমবাগানে জুয়া খেলছিল। সে সময় পুলিশের উপস্থিতির খবর পেয়ে তারা দৌড়ে যমুনার শাখা নদীতে ঝাঁপ দেয়। অন্যরা সাঁতরে পাড়ে উঠলেও রণজিৎ ডুবে যায়। খবর পেয়ে সেই রাতেই বাড়ির লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে পায়নি।
গতকাল বুধবার সকাল আটটার দিকে রণজিতের লাশ নদীতে ভেসে ওঠে। পরে তাঁর পরিবারের সদস্যরা লাশ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়।
এ ব্যপারে আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জেড এম তাজুল হুদা জানান, মঙ্গলবার রাতে পুলিশ অন্য একটি কাজে মাসুমদিয়া গ্রাম দিয়ে যাচ্ছিল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জুয়াড়িরা দৌড়ে পালায়। পুলিশ কাউকে ধাওয়া করেনি। বুধবার সকালে পুলিশ জানতে পারে এক জুয়াড়ি পানিতে ডুবে মারা গেছে।
পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) জিহাদুল কবীর পিপিএম জানান, ওই এলাকা দিয়ে পুলিশ যাওয়ার সময় জুয়াড়িরা নদীতে লাফ দেয়। পুলিশ কাউকে ধাওয়া করেনি। বুধবার সকালে রণজিৎ নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।