নওগাঁয় পুনরায় মুক্তিযোদ্ধা বাছাইয়ের দাবি
নওগাঁয় সদর উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন সুপারিশের তালিকা থেকে বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধারা।
আজ বুধবার দুপুরে শহরের মুক্তির মোড়ে নওগাঁর সংক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন সংগ্রাম পরিষদের নেতারা। দুপুর ১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক ড. মো. আমিনুর রহমান স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে আগের যাচাই-বাছাই কমিটি বাতিলের দাবি তোলা হয়।
মানববন্ধনে সংক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সংগ্রাম পরিষদের সহসভাপতি তাছের আলী, আবদুল খালেক, সদস্য সচিব আতিকুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন, সদস্য ছামসুল আলম, খলিলুর রহমান ও আবদুল হামিদ।
কর্মসূচিতে বক্তারা জানান, সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে বেশ কিছু ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে তালিকাভুক্ত করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। আবার প্রকৃত কাগজপত্র ও সাক্ষী থাকা সত্ত্বেও অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে অনিয়ম করে সুপারিশের তালিকায় নাম রাখেনি যাচাই-বাছাই কমিটি। স্বজনপ্রীতি করে যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্যরা নিজের আত্মীয়-স্বজনদের মুক্তিযোদ্ধা করার জন্য সুপারিশ করেছেন।
যাচাই-বাছাই তালিকা থেকে বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ অভিযোগ করেন, ‘যাচাই-বাছাই কমিটির এক সদস্য আমার কাছে ১০ হাজার টাকা চেয়েছিলেন। টাকা না দেওয়ায় আমার নাম সুপারিশ করেননি। অথচ যাচাই-বাছাই কমিটির ওই সদস্য মুক্তিযোদ্ধা না হওয়া সত্ত্বেও তাঁর নিজের ভাইকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত করার জন্য সুপারিশ করেছেন।’
এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নওগাঁ জেলা ইউনিটের কমান্ডার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘একটা কাজ করতে গেলে ভুল-ভ্রান্তি হতেই পারে। মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে কোনো ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকলে তা সংশোধনের এখনো সুযোগ রয়েছে। যাঁরা তালিকা থেকে বাদ পড়ে সংক্ষুব্ধ হয়েছেন, তাঁদের আপিল করার সুযোগ রয়েছে। আপিলে প্রকৃত প্রমাণপত্র দেখাতে পারলে তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন।’